জলাবদ্ধতার ক্ষতি পোষাবে মাস কলাই আবাদ

গাংনী প্রতিনিধি: পুষ্টি চাহিদা পূরণ, আমদানি নির্ভরতা কমানো ও কৃষকের লাভের জন্য মাস কলাই আবাদ বৃদ্ধির আবহান জানালেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ। অপরদিকে জলাবদ্ধতার ক্ষতি পোষাতে ও পরবর্তীতে বোরো ধান আবাদের সুযোগ কাজে লাগাতে মাস কলাই আবাদে চাষিদের এগিয়ে আসার পরামর্শ দিলেন গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ। গতকাল বুধবার গাংনী ইউএনও সভাকক্ষে সরকারের বিনামূল্যের মাস কলাই বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে এ উপজেলার সাড়ে সাতশ’ চাষিদের মাঝে ৫ কেজি করে বারি মাস কলাই ৩ বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ৫ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়। যা দিয়ে একজন চাষি এক বিঘা জমিতে মাস কলাই আবাদ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে মাস কলাই চাষের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদেশ থেকে ডাল আমাদানী করতে গিয়ে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। এজন্য দেশে আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকার নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে আমন ধান আবাদ করা সম্ভব হয়নি সেখানে পানি সরে যাওয়ার পর বিনা চাষে মাস কলাই আবাদ করা যাবে। অপরদিকে আউশ ধান কাটার পর রবি ও বোরো মৌসুম পর্যন্ত অনেক জমি পতিত থাকে। সেসব জমিতে মাস কলাই আবাদ করা যাবে। মাস কলাই তোলার পর সহজেই ওই জমিতে বোরো ধান আবাদ করা সম্ভব। মাস কলাই চাষের আধুনিক কলাকৌশল তুলে ধরে কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, বারি মাস কলাই ৩ জাতটি স্বল্প জীবনকাল। ৬০-৬৫ দিনে ফলন পাওয়া যায়। বিঘায় ৪ থেকে সাড়ে চার মণ ফলন পাওয়া সম্ভব। এতো অল্প সময়ের মধ্যে এমন ফলন চাষিদের জন্য অবশ্যই লাভজনক। মাস কলাই বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেল। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকার মাস কলাই চাষে আগ্রহী কৃষকরা।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More