জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার টাকা দেয়ার নামে প্রতারণা

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে রকেট, বিকাশ ও নগদ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেয়া করোনা প্রণোদনার টাকা প্রতারকচক্র হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটি তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নিকট ০১৮৮৯০৫৫৩৪০ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর দফতার থেকে বলছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য মহামারী করোনায় ঈদ উপহার হিসেবে রকেট, বিকাশ ও নগদে ৪৫শ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রণোদনার টাকা পেতে হলে আপনার মোবাইলের বিকাশ পিন নম্বরটি দিতে হবে। আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের মৃত মুছা করিমের ছেলে সহজসরল বিকালঙ্গ আব্দুল মজিদ, মহিদুল ইসলামের ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, হুজুর আলীর ছেলে জয়নাল ম-লসহ অনেকে সরল বিশ্বাসে নিজ নিজ মোবাইলের পিন নম্বর দিলে প্রতারকচক্র প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রণোদনার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা হারিয়ে অসহায় ব্যক্তিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ প্রতিবেদক ওই নম্বরে কয়েকবার ফোন দিলে নম্বরটি ব্যস্ত দেখায়। অসহায় প্রতারিত ব্যক্তিরা প্রশাসনের নিকট প্রতারকের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ
জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারের নিউ ডিজিটাল স্টুডিও এন্ড টেলিকম বিকাশ, রকেট ও নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট আহসান আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠায় তার এজেন্ট অবিলম্বে বাতিল করার দাবি উঠেছে। এ দাবি তুলে গতকাল রোববার রাত ৯টায় স্থানীয় সরকার প্লাজায় বাজারের বিশিষ্ট ৩৬ জন মোবাইল ব্যাকিং এজেন্ট এক জরুরি সভায় মিলিত হয়ে অভিযুক্ত আহসান আলী মাস্টারের এজেন্ট বাতিল, মোবাইল ব্যাংকিং সকল কার্যক্রম বাতিল ও তদন্ত পূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার থেকে সকল মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজদিয়া গ্রামের মানিক বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর প্রনোদনার ৫ হাজার টাকা তার ০১৮৬৪০৯৪০৬৭ মোবাইলে দেয়া হয়। সুজন বিশ্বাস বলছেন, গত ৭ মে তিনি প্রণোদনার টাকা উত্তোলন করার জন্য আন্দুলবাড়িয়া বাজারের বিকাশ, রকেট, নগদ ও শিওর ক্যাশ এজেন্ট আহসান আলী মাস্টারের নিকট উত্তোলন করতে যান। এ সময় তাকে আড়াই হাজার টাকা প্রদান করা হয়। গ্রাহকের মাত্র আড়াই হাজার টাকা দেয়ায় তার মনে সন্দেহ দেখা দেয়। তিনি একজন টেলিকম ব্যবসায়ীর নিকট ব্যালেন্স চেক করে আ্যকাউন্ট স্টেটমেন্ট নিয়ে দেখা যায় তার মোবাইল থেকে ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি বাকি টাকা এজেন্টের নিকট দাবি করলে হট্টগোল ও উত্তোজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এক জরুরি সালিস সভায় মিলিত হন। ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ক্ষুব্ধ বাজারের মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়ীরা গতকাল রাতে জরুরি সভায় মিলিত হয়ে অভিযুক্ত আহসান আলী মাস্টারের বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ ও অসহায় গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও টাকা আত্মসাৎ করায় তার শাস্তির দাবিতে আজ সোমবার থেকে ৩৬ জন বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। সভায় মোবাইল এজেন্টগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোল্লা মোতাহারুল ইসলাম চঞ্চল, আবু সামা বাবু, মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিদুল ইসলাম, একলাস হোসেন, মিন্টু মিয়া, মারুফ হোসেন, শেখ আব্দুল হান্নান, কাজি রাসেল, মোল্লা আব্দুল হালিম, তালাত মাহমুদ খান, শাহীন হোসেন, মোল্লা হাচিবুল ইসলাম ও মিন্টু শেখ প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More