জীবননগরের সেই নারীর শরীরে দ্বিতীয় দফা টেস্টে করোনা ধরা পড়েনি

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলায় প্রথম শনাক্ত হওয়া সেই নারীর দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও করোনা ভাইরাস নেগেটিভ এসেছে। ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে তার দ্বিতীয় পরীক্ষা করা হয়। যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বুধবার দুপুরে রিফাত শারমীন রহমানের পরিবারকে সংবাদটি নিশ্চিত করেছে। তবে তৃতীয় দফা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার আবারও তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথমবার ওই নারীর পরীক্ষা করা হয় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে। সেখানে করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসার পর রিফাত শারমীন রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বলা হয় শারমীনের করোনা ভাইরাস হয়নি। রিপোর্টের কোথাও ভুল আছে। শেষ পর্যন্ত তাদের সেই আশঙ্কায় সত্য প্রমাণিত হলো। পূর্বের দেয়া করোনা পজেটিভ রিপোর্ট ভুল প্রমাণিত হলো।
জীবননগর পোস্টঅফিসপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হাজি বশিয়ার রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান সবুজ জানান, গণপরিবহন বন্ধের পূর্বে মা ঢাকাতে আমার বড় বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। সেখানে অবস্থানকালে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। কিছুটা সুস্থ হলে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসলে গত ২৪ এপ্রিল তিনি জীবননগরে ফেরেন। এদিন রাতে আবারও তিনি দ্বিতীয় দফায় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। পরের দিন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় জ¦র ও কাশি দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে পাঠায়। ২৯ এপ্রিল তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট দেয়া হয়। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই নারীর স্বামী হাজি বশিয়ার রহমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, তার স্ত্রীর করোনা হয়নি। রিপোর্টে ভুল আছে। ওই রিপোর্টকে তিনি চ্যালেঞ্জ করে আবারও পরীক্ষা করার অনুরোধ করেন। দ্বিতীয় দফায় নমুনা নিয়ে আইইডিসিআরে পাঠানো হলে বুধবার পাওয়া পরীক্ষায় তা নেগেটিভ এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এখনই হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না শারমীন রহমান। তাকে তৃতীয় দফা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ফলে রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ওই নারীর করোনা পরীক্ষার রেকর্ড জীবননগর হাসপাতাল কিংবা চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসে না থাকায় জেলার দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রেকর্ড বর্তমানে ওই নারীর বাড়ি লকডাউন রয়েছে। পরিবারের অন্য ৪ সদস্যর নমুনা নেয়া হলেও গত ৫ দিনেও তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More