জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন বিষয়ক জন-সচেতনতামূলক সভা করেছেন ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ চুয়াডাঙ্গা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর ট্রাফিক পুলিশের আয়োজনে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড মুক্ত মঞ্চে সাধারণ জনগণ, পথচারী, অটোরিকসা চালক, মোটরসাইকেল চালক, ভ্যান চালক, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চালক ও পথচারীদের নিয়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস, সদর ট্রাফিক বিভাগের টি আই সোহেল, টি আই এডমিন আমিরুল ইসলাম, টিআই হাসান মল্লিক, সার্জেন্ট সেলিম, সার্জেন্ট নবাব এবং জীবননগর থানার এস আই ফিরোজ হোসেন। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা যানবাহন চালক ও পথচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। সকল ধরনের যানবাহনের চালক ও পথচারীদের অবশ্যই ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। সেই সাথে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহারের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও সাধারণ পথচারীদের ট্রাফিক আইন-কানুন মেনে রাস্তা পারাপারসহ আইনের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর যদি আপনারা ট্রাফিক আইন মেনে না চলেন তাহলে আমরা আপনাদের প্রতি আরো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। এছাড়াও তারা বলেন, যেভাবে প্রতিদিন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর বা তরুণদের মৃত্যু হচ্ছে সেটা আমাদের জন্য একটি বিপদ সংকেত। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা কোনোভাবেই অল্প বয়সী তরুণদের রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে দিবো না। সেই সাথে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতিত, হেলমেট ব্যতিত কেউ গাড়ি চালাবেন না। রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল, গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। জীবনের ঝুকি নিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালাবেন না। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করবেন না। ব্রিজ কালভার্টা সরু রাস্তা আঁকা-বাঁকা রাস্তা এবং বিভিন্ন মোড়ে ওভার টেকিং করবেননা। এছাড়াও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমাদের অনুরোধ অল্প বয়স্ক সন্তানদের হাতে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেবেন না। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবকদের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য। সালাম নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা যে হারে বাড়ছে, সে কারণে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের ট্রাফিক সচেতনামূলক সভার মাধ্যমে সাধারণ চালক ও পথচারী সচেতন হবে বলে আমি আশা রাখি। পথচারী বিল্লাল হোসেন বলেন, মোটরসাইকেলের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ যানবাহনের দিকেও কঠোর নজরদারি করতে হবে। কারণ অবৈধ যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।
পূর্ববর্তী পোস্ট
মেহেরপুরে পুলিশের যৌথ অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১জন গ্রেফতার
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.