জীবননগরে দু’ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বরখাস্তের খবর ‘টক অব দ্যা উপজেলা’

একই অভিযোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুরুদ্দিন
জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দু’ নেতা বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান ও হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ^াস এবং ওই ইউনিয়নের সদস্য সোহেল রানা শ্যামলকে সাময়িকভাবে তাদের পদ থেকে বহিস্কার করার সংবাদ ছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার জীবননগরে ‘টক অব দ্য উপজেলা’। দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণে উপকারভোগীদের নিকট হতে নানা প্রকারের সুবিধা আদায়ের অভিযোগসহ হুমকি-ধামকি দিয়ে অর্থ আদায় ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় হতে এ বহিস্কার করা হয়। বুধবার তাদের বহিস্কারাদেশের চিঠি জীবননগর ইউএনও’র কার্যালয়ে পৌঁছে। এদিকে একই রকম অভিযোগ উত্থাপিত হলেও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান অবশ্য রক্ষা পেয়েছেন। তিনি কীভাবে নিজেকে রক্ষা করলেন সেটিও ছিলো আলোচনার প্রধান উপজীব্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদের প্রধান বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রবিউল ইসলাম বিশ^াস, হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সোহবার হোসেন খান মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আব্দুল কাদের প্রধান বাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রবিউল ইসলাম বিশ^াস হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান তার পদ হারান। চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হতে হতদরিদ্র যাদের জমি আছে ঘর নেই এমন মানুষদের দুর্যোগ সহনীয় গৃহ প্রকল্প গ্রহণ করে। বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান ও হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ^াস ইউপি সদস্য সোহেল রানা শ্যামলকে নিয়ে এ গৃহ নির্মাণকালে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়ান। এসময় তারা উপকারভোগী হতদরিদ্র মানুষের নিকট থেকে নানাভাবে অর্থ হাতিয়ে নেন এবং অর্থ না দিলে তাদেরকে হুমকি-ধামকি প্রদানসহ ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ভূক্তভোগীরা এ নিয়ে প্রশাসনসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। সে সময় একই রকম অভিযোগ ওঠে মনোহরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানের বিরুদ্ধেও। তৎকালীন ইউএনও সিরাজুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে তাদের বিরুদ্ধে সাময়িক বহিস্কারের আদেশ জারি করে। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে কেনো তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না তা মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছে। বাঁকা ও হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বহিস্কার হলেও মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কীভাবে নিজেকে রক্ষা করলেন আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এটিও উঠে আসে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More