স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নিহত হওয়া দুই ভাই মিন্টা(৬০) ও হামজা(৪৫) কে পাশাপাশি কবরে শায়িত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রবিবার দুপুর ২ টার সময় দুই ভায়ের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা থেকে উথলী গ্রামে নিজ বাড়িতে পৌছায়। মরদেহ পৌছুলে শোকে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে পড়ে।একটি নজর দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়িতে ভিড় জমায়।
এদিকে একই পরিবারের দুই সদস্যকে হারিয়ে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। থেমে থেমে পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ। পরে রবিবার আছরের নামাজের পর উথলী বেলেদাড়ি কবরস্থানে জানাজা নামাজ শেষে পাশাপাশি কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় আপন দুই ভাই কে।
মরদেহ উথলী গ্রামে আসার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উল্লেখ যে,গত শনিবার সকালে গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যায় দুই ভাই মিন্টা ও হামজা। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই ভায়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই ভাই গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের কে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বে হামজা আলীর মৃত্যু হয় ও আধাঘন্টা চিকিৎসাধীন থেকে মিন্টা মিয়ার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা গতকাল চুয়াডাঙ্গায় টপ অব দ্যা নিউজে পরিণত হয়।
ময়না তদন্তের কাজ শেষ করে রোববার দুপুরে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। নিহতদের আরেক ভাই তোতা মিয়া জানান,গত কুরবানির ঈদের সময় একটি গরু কেনা বেচা নিয়ে প্রতিবেশী খোকা মিয়া ও তার পরিবারের সাথে মারামারি হয়।এতে দুই পরিবারের কয়েকজন আহত হয়। এই শত্রুতার জেরে তারা পরিকল্পিত ভাবে আমার দুই ভাই কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।আমার আরেক প্রতিবন্ধী ভাই রাজ্জাক কে পিটিয়ে আহত করেছে। এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.