ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড
ঝিনাইদহের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আমজাদ হোসেন ব্যাতীত বাকি ৩ আসামী এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৪ আসামীও পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, ২০১১ সালের আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যায়। সেসময় দেখা যায় মোটর সাইকেল টি ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ খোজ নিয়ে জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইসুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন সহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে কর্মস্তলে রওনা হন। এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি শুরু করে। পরবর্তীতে পরদিন ২৪ তারিখ সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পুর্ব পাশের পানি ভর্তি ডোবায় মিরাজুল ইসলাম এর পোশাক পরিহিত হাত,পা বাধা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই দিন ই পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। সেই মামলায় তদন্ত শেষে আজ বিচারক ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাদান করেন। মামলায় বাকী আসামীদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.