ঝিনাইদহে পুলিশের এসআই আকরাম নিহতের ঘটনাস্থলে পিবিআইয়ের ক্রাইম সিন ডেমো

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহে পুলিশের এসআই আকরাম হোসেনের নিহতের ঘটনাস্থলে ‘ক্রাইম সিন ডেমো’ করেছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। শনিবার বিকেলে ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড়দাহ নামক স্থানে এই ডেমো করা হয়। ওইদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার ভিত্তিতে ডেমো করা হয়। যেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় আকরাম হোসেন পড়ে ছিলেন, ঠিক তেমনভাবে পিবিআইর এক সদস্য পড়ে থাকেন। তার মোটরসাইকেল যেখানে পড়ে ছিল সেই মোটরসাইকেলটি সেখানে রাখা হয়। হেলমেটও বর্ণনা অনুযায়ী রাখা হয়। অর্থাৎ সে সময়ের দৃশ্য তৈরি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী যুবক সাগর মল্লিক বলেন, ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ ইবি থানাধীন লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে তারা ৯ জন ওয়াজ শুনে একটি মহেন্দ গাড়িযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। বড়দাহ মাদরাসার সামনে পৌঁছুলে রাস্তার একজনকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে পড়ে ছিলো তার মোটরসাইকেল ও একটু দূরে হেলমেট। তারা গিয়ে দেখেন তিনি জীবিত আছেন। তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল নিয়ে যান। তখন রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা হবে। অনেক ডাকাডাকির পর আধাঘণ্টা পরে গেট খুলে হাসপাতালে ভর্তি করেন নার্স। তার আগে আকরাম হোসেনের পকেটে থাকা মোবাইলফোন থেকে তার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর বের করে কল দেয়া হয়।
তিনি বলেন, আহত ব্যক্তির কাধে একটি ব্যাগ ছিলো। হাসপাতালে এসে তার শ্বশুর ব্যাগটি নিয়ে নেন। অপর যুবক শিমন জানান, তারা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। ফোন করার পর স্বামীর মুমূর্ষু অবস্থার কথা শুনে যেমন বিচলিত হওয়ার কথা ছিলো তেমন দেখাননি তার স্ত্রী। হাসপাতালে ভর্তির পর আত্মীয়স্বজনরা এলে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরাও একই রকম কথা বলেন।
পিবিআইসূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পাওয়ার পর আকরামের স্বজন ও তার স্ত্রী, শ্বশুর, স্ত্রীর মামাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের বক্তব্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। আর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পিবিআই প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More