ঝিনাইদহে মিটার লাগানোর সময় টাকা আদায় : আটক ৪

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে স্মার্ট প্রি-প্রেইড মিটার লাগানোর সময় গ্রাহকের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে জেলা শহর সংলগ্ন কোরাপাড়া গ্রামের গ্রাহকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার সময় চারজনকে আটক করেছেন জনতা। আটকরা হলেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার অম্বরনগর গ্রামের আমির হামজা, মো. আল-আমীন, সেনবাগ উপজেলার মজিবখিল গ্রামের জাহিদ হাসান ও বেল্লাল হোসেন। এদের টিমলিডার সেনবাগ উপজেলার বীরকোট গ্রামের মো. ফয়সাল ও মাইজদি উপজেলার ঘোষ গ্রামের মো. অনিকসহ অপর ৪জন কৌশলে কেটে পড়েছে। তারা সবাই ঠিকাদারের নিয়োগ করা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এ নিয়ে গোটা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। জনতার প্রতিবাদের মুখে জড়িতরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হন। অবশেষে ওজোপাডিকোর ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকারের নির্দেশে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদার টাকা ফেরত দিয়েছেন ঠিকাদার।
ঝিনাইদহ জেলা শহরের উপকণ্ঠে পাগলাকানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া গ্রামের গ্রাহক আবদুল খালেক বাবুর্চির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। করোনায় রান্নাবান্না প্রায় বন্ধ। দিনমজুরি করে সংসার চলে তার। বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ নিয়েছে সে। রিপন রিকশাচালক, কষ্টে কাটছে তার দিন- এদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। এছাড়া শামেলা খাতুন স্বামী মারুফুল ইসলাম, পাপিয়া খাতুন স্বামী খায়রুল ইসলাম, মো. মজনুসহ অনেকের কাছ থেকে মিটারপ্রতি ২০০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়।
ব্যাপারীপাড়ার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মঞ্জু বলেন, মিটার লাগানোর সময় বাড়িতে ছিলেন না তিনি। কিন্তু তার স্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। দিনভর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় খবর নিয়ে জানা যায়, প্রথমদিকে মিটার লাগানোর সময় বকসিস হিসেবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছিলো ঠিকাদারের লোকজন। ইদানীং জোর করেই মিটারপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে নিচ্ছে তারা। যারা টাকা দিতে অস্বীকার করছেন, তাদের মিটার লাগানো হচ্ছে না।
খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওজোপাডিকোর প্রকৌশলী আবদুল হালিম এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিএসইকোর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বিকেল ৩টার দিকে জনতার রোষানল থেকে আটকদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওজোপাডিকোর (ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, যারা এ কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রি-পেইড মিটার লাগানো বাবদ গ্রাহকের সাথে অর্থিক লেনদেন করা সম্পূর্ণ বেআইনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন এ কর্মকর্তা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More