ঝিনাইদহে রেক্সোনা হত্যা মামলায় আরও দুজন গ্রেফতার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়া বেতাই গ্রামের রেক্সোনা হত্যার ঘটনায় আরো ২ জন মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। রেক্সোনা পোড়া বেতাই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হত্যাকান্ডের বিস্তারিত লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন আসামি শাকিল হোসেন ও ইমরান। পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর বিয়ের চাপ সৃষ্টি করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পোড়া বেতাই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রেক্সোনার পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। এ ব্যপারে রেক্সোনা বিয়ের চাপ দিতে থাকে সিদ্দিকুর রহমানকে। এরই মাঝে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজমিস্ত্রি সিদ্দিকুর রহমান তার সহযোগী জেলার কোটচাদপুর উপজেলার হাজিডাঙ্গা গ্রামের জামাত আলীর ছেলে শাকিল ও ইকড়া গ্রামের ছাব্দার আলীর ছেলে ইমরানকে সাথে নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটায়।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার স্যারের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি মো. শাকিল হোসেন (২০) ও ইমরান হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তারা আদালতে হত্যার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে জবানবন্দি প্রদান করে।

তিনি আরও জানান, রাজমিস্ত্রী ছিদ্দিক তার দুই সহযোগীদের নিয়ে হত্যা করে। তাদের বাড়ি জেলার কোটচাদপুর উপজেলায়। ছিদ্দিক পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর রেক্সোনা বিয়ের চাপ সৃষ্টি করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ২০২০ ইং তারিখ দুপুরে পোড়া বেতাই গ্রামের মাঠে কার্তিকের মেহগণি বাগানে গলাই ওড়না পেচানো অবস্থায় রেক্সোনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রেক্সোনার পিতা নুর ইসলাম মোল্লা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More