ঝিনাইদহে রেললাইন-মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: “ঝিনাইদহের উন্নয়নে, আমরা সবাই একসাথে” স্লোগানে আত্মপ্রকাশ করেছে ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। জেলার সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনয়ণ, প্রস্তাবনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনমত গঠন ও দাবি আদায়ে সোচ্চার সংগঠন হিসেবে কাজ করার প্রত্যয়ে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঝিনাইদহ শহরের আহার রেস্টুরেন্টের অডিটোরিয়ামে এ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. একেএম কামাল, ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ডা. শফিউল আলম সোহাগ, বিজিএমইএ এর সদস্য প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, যশোর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলার প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন। আরও বক্তব্য রাখেন ডা. হাসানুজ্জামান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, গাউস মোহাম্মদ গোর্কি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মার্ফিয়া খাতুন প্রমুখ। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চিকিৎসা বিষয়ক ডিজিটাল নিবন্ধন উপস্থাপন করেন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন। এছাড়া শিক্ষা বিষয়ক নিবন্ধন উপস্থাপন করেন কমিটির শিক্ষা সম্পাদক ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন এবং ক্লীন ঝিনাইদহ বিষয়ে ডিজিটাল নিবন্ধন উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল বাশার। বক্তরা বলেন, ঝিনাইদহ উর্বর মাটির জনপদ। এই জেলার মানুষ কর্মঠ ও পরিশ্রমী। কিন্তু বিগত দিনে ঝিনাইদহে আশানুরূপ উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঝিনাইদহের উন্নয়নে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সাধারণ জনগনকে সোচ্চার হতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, ঝিনাইদহের উন্নয়নের জন্য পদ্মাসেতু রেললাইন প্রকল্প মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে। যুগ যুগ ধরে এই জনপদের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। কাজেই, জনগনকে নতুন করে নিজেদের অধিকার ও প্রাপ্যটুকু আদায়ে জোর আওয়াজ তুলতে হবে। এ সময় মাগুরা-ঝিনাইদহ ফোর লেন সড়ক নির্মাণ, মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃতি চিকিৎসক, শিক্ষক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More