ঝিনাইদহে শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্ত্রীর যৌতুকের মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বিয়ে পাগল স্কুল শিক্ষক একেএম ইব্রাহীম ওরফে খায়েরের বিরুদ্ধে তৃতীয় স্ত্রী যৌতুকের মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে তৃতীয় স্ত্রী মিতা খাতুন (২৫) ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি করেন। আসামি একেএম ইব্রাহীম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ও গাড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বিজ্ঞ বিচারক রফিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী আব্দুল খালেক সাগর জানান। বাদী মিতা খাতুন অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল এক লাখ টাকার কাবিনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন এটা তার স্বামীর তৃতীয় বিয়ে। এর আগে রহিমা খাতুন ও ইয়াসমিন নামে তার স্বামীর আরে দুই স্ত্রী ছিলো। দ্বিতীয় স্ত্রী ইয়াসমিন ১৫ বছর সংসার করে স্বামীর নির্যাতনের কারণে ঢাকায় চলে যান। এখন প্রথম স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তিনি সংসারে আছেন। আদালতে দায়ের করা মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী একেএম ইব্রাহীম দুই লাখ টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। বাদীর হতদরিদ্র পিতা মোজাম ম-ল মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের পরপরই জামাইকে টিভি, সোনার গয়না, নগদ টাকা ও আসবাবপত্র দেন। এতে খুশি হতে পারেননি যৌতুক লোভী স্বামী একেএম ইব্রাহীম। টাকার জন্য প্রায় মারপিট করতে থাকে তৃতীয় স্ত্রী মিতাকে। গত ১ জানুয়ারি বাদীকে যৌতুকের জন্য মারপিট করে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে মিতা খাতুন পিতার বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। স্বামী একেএম ইব্রাহীমকে সংবাদ দিলেও যৌতুকের দাবিতে তিনি অটল থাকেন। সাফ জানিয়ে দেন দুই লাখ টাকা না দিলে মিতাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবেন না। বিষয়টি নিয়ে হলিধানীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি জানান, একেএম ইব্রাহীম প্রায় তার স্ত্রীকে মারধর করতো। এ কারণে তার স্ত্রী মিতা গত বছরের ৮ নভেম্বর গ্রাম্য আদালতে বিচার প্রার্থনা করে। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল একেএম ইব্রাহীম ও মিতা দম্পতির মধ্যে মীমাংসা করে দেয়া হয়। তিনি বলেন একেএম ইব্রাহীম দুশ্চরিত্র প্রকৃতির লোক। গাড়ামারা গ্রামে তার রেকর্ড খুবই খারাপ। নিজ স্কুলের পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রীদের সঙ্গে সে অনৈতিক আচরণ করতো। এ নিয়ে বহু বিচারও হয়েছে। এক শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে জুতোর বাড়িও খেয়েছেন শিক্ষক একেএম ইব্রাহীম। তৃতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলার বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষক একেএম ইব্রাহীমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More