ঠান্ডা ও শীতের তীব্রতা ফুটপাতের পুরানো কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

সালাউদ্দীন কাজল‌ঃ চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কয়েক দিনের ঠান্ডা ও শীতের তীব্রতা এবং হিমেল হাওয়া বেড়ে যাওয়ায় শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ফুটপাতের পুরানো কাপড়ের দোকানগুলোয় উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দোকানগুলোয় সব বয়সের নারী পুরুষ শিশুসহ শীতের কাপড় কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। চাহিদা মত কিনছেন শীতের কাপড়।

জীবননগর উপজেলার ডাকবাংলো মার্কেট, কৃষি মার্কেট, উপজেলা মার্কেট, ইসলামী ব্যাংক মার্কেট, বাস স্ট্যান্ড মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করছেন ফুটপাতে বসা সস্তা কাপড়ের দোকানগুলোয়।
দোকানিরা এ শীতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাবেচা কাপড় করছেন। দোকানিরা কম দামে ছোট বাচ্চাসহ বিভিন্ন বয়সের ভিন্ন ভিন্ন গরম কাপড় নিয়ে বসেছেন ফুটপাতে।
জীবননগর পৌর শহরের ডাকবাংলো, বাস স্ট্যান্ড থেকে উপজেলা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বসেছে নতুন ও পুরাতন কাপড়ের হাট। শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সকলেই কিনছেন শীতের কাপড়। তবে এসব ক্রেতা বেশির ভাগই নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। দেখে-শুনে কম দামের নতুন এবং পুরনো কাপড় কিনছেন।
ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, ঠান্ডা নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়ের। মার্কেটে নতুন কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, মানেও বেশ ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। আমি একটি চাদর ও সুয়েটার কিনেছি।
কাপড় কিনতে আসা ফরিদা আক্তার বলেন, আমাদের জীবননগরে তুলনামূলক ঠান্ডা ও শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঠান্ডা আসলেই প্রতি বছর সুয়েটার ও অন্যান্য গরম কাপড় কিনতে হয়। মার্কেটে নতুন কাপড়ের খুব দাম, তাই ফুটপাতে এসে দেখে শুনে ভালো মানের কাপড় কিনলাম। আমি দুটি সুয়েটার ও ট্রাউজারসহ কয়েকটি কাপড় কিনেছি। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর দামটা অনেক বেশি।
ফুটপাতের দোকানদার রুস্তম মিয়া বলেন, এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ দোকান করে বিক্রি করি। দাম কম হওয়াতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঠান্ডা যতই বাড়বে এসব কাপড়ের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে।
দোকানদার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা গাইট হিসেবে সব কাপড় নিয়ে আসি। এখানে এনে শ্রেনী ভেদে বাচাই করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করি। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় পেলে ক্রেতারা ভিড় করে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বারে একটু দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসা নিয়ে চিন্তায় আছি।
জীবননগর বাজার কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলে জেলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও বিভিন্ন সংঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল ও অন্যান্য গরম কাপড় বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা নিবারনের জন্য খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে একটু কম দামে কাপড় কিনে নিচ্ছেন ক্রেতা সাধারণরা। এসব দোকানে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে পোশাকগুলো। এসব অস্থায়ী দোকান থাকায় ব্যবসায়ীদের আয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে তেমনি নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সুবিধাও হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে জীবননগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More