ঠিকাদারের সাথে আতাত করে অতিরিক্ত বিল দিচ্ছেন এলজিইডি গাংনী প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর গাংনীর ঠিকাদার মজিরুল ইসলামের সাথে গোপন আতাত করেছেন এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ। মজিরুল ইসলামের চলমান কয়েকটি রাস্তার কাজে নিয়ম বর্হিভূত বিল প্রদান করেছেন প্রকৌশলী। কাজ সম্পন্ন না করে বিল প্রদান ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি প্রকৌশলী এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামে ব্রিজ থেকে রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রাম পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণে পুরাতন ইট ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন ঠিকাদার মজিরুল ইসলামের লোকজন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টিতে বাধা দেন। মজিরুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তাই তার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। এ সুযোগে ধলার রাস্তাসহ আরো দুইটি রাস্তা একইভাবে নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে তৈরী হচ্ছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন এলজিইডি গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলজিইডি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজসে একই সাথে স্থানীয় মেম্বারসহ কতিপয় লোকজনকে ম্যানেজ করেই দাপটের সাথে চলছে ঠিকাদারের কাজ। সাধারণ মানুষ বিষয়টি চোখের সামনে দেখলেও প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। অবিলম্বে রাস্তায় এসব নি¤œমানের ইট অপসারণ করে উন্নতমানের ইট দিয়ে নতুন করে রাস্তা নির্মাণে সাংবাদিকদের মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে চলতি জুন মাসে এলজিইডি থেকে বিল উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। এ সুযোগে ঠিকাদার মজিরুল ইসলামের সাথে আতাত করে তার রাস্তার কাজ যে পরিমাণ সম্পন্ন হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি সম্পন্ন দেখিয়ে বিল প্রদান করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী। এমন অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। তবে অভিযোগ মিথ্যা ও ঠিকাদার মজিরুলের প্রতিপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অপ্রপ্রচারে লিপ্ত বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ। তিনি বলেন কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।
এদিকে এলাকাবাসীর বারবার নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগের বিষয়টি আমলে না নেয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন এলাকার কিছু প্রতিবাদী মানুষ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More