স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন গাংনীরে মেয়ে রজনী। তার মেয়ের ছুটির জন্য স্কুলে অবস্থান করছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে তার দগ্ধ মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিহত রজনী গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাওট গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে। রজনীর স্বামী জহিরুল ইসলামের ব্যবসায়িক সুত্রে এক কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। জহিরুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুর গ্রামে।
জানা গেছে, মেয়ের স্কুল ছুটির জন্য গেটের বাইরে অবস্থান করছিলেন রজনী। দুর্ঘটনার পর বাচ্চাকে খুঁজতে স্কুলের ভেতরে ছুটে যান রজনী। কিন্তু তার আগেই তার কন্যা শিশুটি গেটের বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। যা জানতেন না রজনী। মেয়েকে খোঁজার এক পর্যায়ে তার শরীর আগুন লেগে যায়। ঘটনার পর থেকেই রজনী ও তার শিশু কন্যাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার স্বামী। সন্ধ্যার পরে রজনীর খোঁজ মেলে ঢাকার সিএমএইচ হাসপালে। তবে জীবিন নয়, অগ্নিদগ্ধ মরদেহের সন্ধান পান তার স্বজনরা। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে গতকালই রওনা দিয়েছেন রজনীর পিতার পরিবারের লোকজন। রজনীর পরিবার, প্রতিবেশ ও স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। তার মরদেহ পিতার গ্রামে না স্বামীর গ্রামে দাফন করা হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.