ঢাকা থেকে উত্তরা পরিবহনে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার পথে বিপত্তি : অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে দুজন সদর হাসপাতালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা থেকে উত্তরা পরিবহন যোগে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার পথে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন জুয়েল রানা ও আলামিন হোসেন। গতকাল সোমবার ভোরে আলমডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে অচেতন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাদের পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভেদামারী হাজীপাড়ার মতিয়ার রহমানের ছেলে আলামিন হোসেন (২৩)। গত ৩ এপ্রিল প্রাণ কোম্পানিতে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে ঢাকায় যান। গত রোববার রাতে ঢাকা থেকে আলমডাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে আসা উত্তরা পরিবহন যোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। এদিকে, আলামিনের শয্যাপাশে থাকা তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরা পরিবহনের সুপারভাইজার সাকিব আমাদের কাছে ফোন করে আলামামিন অচেতন হওয়ার খবর দেন। আমরা আলমডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আলামিনের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, আলামিনের কাছে থাকা মোবাইল ফোন যদি খোয়া যায় তাহলে বাসের সুপারভাইজার আমাদের বাড়ির ফোন নাম্বার কোথায় পেলো। গতকাল সন্ধ্যায় আলামিনের জ্ঞান ফিরলে তিনি বলেন, আমাদের বাসটি যখন পাটুরিয়া ঘাটে ফেরিতে ওঠে সেই সময় তার পাশের সিটের যাত্রী তাকে কোমল পানীয় স্প্রিড খেতে বলে। আমি স্প্রিড খাওয়ার পর অচেতন হয়ে যায়। আলামিনের কাছে থাকা ঠওঠঙ-ণ-২০ মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার টাকা ছিলো যা পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, একই বাসে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শামন্তা গ্রামের মুনতাজুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (২৯)। তিনিও অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। তাকেও তার পরিবারের সদস্যরা আলমডাঙ্গা থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে ভর্তির পরপরই জুয়েল রানাকে তার পরিবারের লোকজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। জুয়েল রানার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি বলে তার কাছ থেকে কিছু নিয়েছে কিনা এবং তার অচেতন হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভাব হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More