তিন ব্যবসায়ীকে বেঁধে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনতাই

আলমডাঙ্গার জামজামি-রামদিয়া সড়কে গাছ ফেলে লাটাহাম্বারের গতিরোধ

জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জামজামি বাজার-রামদিয়া সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছ ফেলে লাটাহাম্বারের গতিরোধ করে চালকসহ তিনজনের সর্বস্ব লুট করে ডাকাতদল। পরে পাশের মেহগনি বাগানে তাদের মুখ ও হাত-পা বেধে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। পরে গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘোষবিলার গলাইদড়ি ব্রিজের অদূরে সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে ডাকাতির শিকার তিনজনের কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।

ডাকাতির শিকার আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারী গ্রামের মৃত ছায়েম বিশ্বাসের ছেলে হানেফ আলী জানান, ঝিনাইদহের হলিধানীর শালিকা গ্রামের নূর ইসলামের সাথে আমার খড়ির ব্যবসা রয়েছে। শুক্রবার লাটাহাম্বারে খড়ি নিয়ে ছেলে (চালক) ইমাদুল ও নূর ইসলামের সাথে কুষ্টিয়ার ভেড়ারমারার তালবাড়িয়া ইউনিয়নের রানাখড়িয়া গ্রামে গিয়ে জনৈক মিজানের গোলায় খড়ি করি। ফেরার সময় বালি বোঝাই করতে করতে নদীর চরে লাটাহাম্বারের চাকা তলিয়ে যায়। ফলে চাকা তুলতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। জামজামি বাজার-রামদিয়া সড়কের ঘোষবিলা গ্রাম পেরিয়ে গলায়দড়ি ব্রিজে পৌঁছাতেই সাড়ে ১২টা বেঁজে যায়। গলায়দড়ি ব্রিজ থেকে সড়কের কিছুদূর যেতেই সড়কে আড়াআড়ি গাছ ফেলা নজরে পড়ে। স্বজোরে গাছ ঠেলে লাটাহাম্বার চালাতে গেলে পাশের বাগান থেকে ৮-৯ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল আমাদের যানবাহনের গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাতদল ধারালো অস্ত্রের মুখে আমাদের সকলকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যায় পাশের মেহগনি বাগানে। সেখানে গামছা দিয়ে মুখ হাত-পা পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখে।

ব্যবসায়ী হানেফ আলী আরও বলেন, গাড়ির ছিটের নীচে রাখা নগদ ১২ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে সটকে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। পরে মুখ বাধা অবস্থায় কথা বলার চেষ্টা করলে বিষয়টি শুনতে পান পাশে পানবরজে পাহারায় থাকা বরজ মালিক। তাদের চোর ভেবে তিনি ফোন করেন গ্রামে। পরে গ্রামের লোকজন চোর ধরার উদ্দেশ্যে এসে দেখতে পান বিপরীত দৃশ্য। বাঁধন খুলে আমাদের কাছে বিস্তারিত শুনে খবর দেয় পুলিশে।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর বলেছেন, রাতেই তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। তাদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত শোনা হয়েছে। সকালে তারা বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনায় জড়িত ডাকাত সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More