ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফতেপুর গ্রামে ত্রাস সৃষ্টি করে আপন মামার ১৪৬ শতক জমি দখলের চেষ্টা করছেন উজ্জ্বল সরদার নামে এক যুবক। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পাঠিয়ে তার মামা, মামানি ও খালাদের নানা ভাবে হুমকি প্রদান করছে। গতকাল শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফতেপুর গ্রামের এবাদত মন্ডলের ছেলে গোলাম মোস্তফা শলোক। এ সময় তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ভগ্নিপতি গোপিনাথপুর গ্রামের ফজলুর রহমান, বোন সোনাভানু, ভাগ্নি ফুলহরি গ্রামের শেফালী খাতুন, কন্যা মাফিয়া খাতুন অহনা ও প্রতিবেশি বাদল মন্ডল উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোস্তফা শলোক দাবি করেন, তার পিতা মৃত্যুর আগে জমি বিক্রি করেননি। বরং এই ১৪৬ শতক জমির মধ্যে তার মা হালিমা খাতুনের নামে ৭৩ শতক ও মেজো মেয়ে হাসিয়া খাতুনের নামে ৭৩ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে তার মা ও বোন সর্বমোট ১৪৬ শতক জমি তার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেন। এই ১৪৬ শতক জমির দলিল, নামপত্তন, দখল, খাজনার দাখিলা ও রেকর্ড সবই গোলাম মোস্তফা শলোকের নামে। কিন্তু তার ভাগ্নে উজ্জ্বল সরদার তার মায়ের নামে জমি আছে এমন দাবি করে প্রতিনিয়ত হত্যা ও জমি দখলের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ভাগ্নে উজ্জ্বল সরদার পূর্ববাংলার সামরিক কমান্ডার হানেফের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। হানেফ নিহত হওয়ার পর আলমডাঙ্গার একটি সন্ত্রাসী দলে যোগ দিয়ে জমির জন্য তার মামা গোলাম মোস্তফা শলোককে হত্যা করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে পরিবার। এ বিষয়ে উজ্জ্বল সরদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি এম এ রউফ জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে যদি থানায় অভিযোগ দেয় তবে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.