দর্শনায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ : বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা

মারা যাওয়া সোলায়মানের পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন পুলিশ সুপার

দর্শনা অফিস: দিন যতো যাচ্ছে দর্শনায় করোনা পরিস্থিতি ততোই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তোয়াক্কা করছে না অনেকেই। দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সোলায়মান হকের পরিবারের আরও তিন সদস্যের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোট এসেছে। লকডাউন করা হয়েছে সোলায়মানের বাড়ি। গত বুধবার করোনা উপস্বর্গ নিয়ে সোলায়মান হক মারা যান। তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা পরীক্ষায় স্ত্রী বিলকিসের করোনা রিপোট পজেটিভ আসে। ২য় দফায় পরিবারের অন্যদের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার সোলায়মানের ছেলে কেরুজ নিরাপত্তাকর্মী জসিম উদ্দিন (৩৬), ছোট ছেলে রাসেলের স্ত্রী ফাহিমা সাদিয়া (২৬) ও ৭ বছর বয়সী ছেলে রেদওয়ান আহমেদ তাছিমের পজেটিভ রিপোট আসে। ফলে একই পরিবারে করোনা আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে মারা গেছেন সোলায়মান হক। সোলায়মান হক মারা যাওয়ার পর থেকে লকডাউন করা হয় তার বাড়ি। লকডাউনের পর থেকে মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন সোলায়মান পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের কাছে জসিম উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা বলেছে, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে ফোন করে খাবার সামগ্রী পাঠানোর বহু অনুরোধ করা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর টাকা বিকাশে পাঠানোর কথা বলেও কারো কাছে সহায়তা পাইনি। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সোলায়মান হকের পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠান। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান কাজল বিকেলে ওই খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়ার সময় আবেগ-আপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেছেন, জসিমসহ তার পরিবারের সদস্যরা। খাবার পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে জসিমের পরিবারের পক্ষ থেকে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More