দর্শনায় মাদক সেবনে নিষেধ করায় স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় মাদকাসক্ত স্বামীকে মাদক সেবনে নিষেধ করায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সুমি খাতুন ফাতেমা (২৮) নামে এক গৃহবধূ। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুমি খাতুনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমি খাতুন ফাতেমা দর্শনা পৌর এলাকার থানারপাড়ার ভ্যানচালক মর্তুজার মেয়ে ও ইশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের ঈদগাপাড়ার রাজিবের স্ত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও অভিযুক্ত স্বামী রাজিবকে আটক করেনি পুলিশ। সুমি খাতুনের বাবা ভ্যানচালক মর্তুজা দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাজিবের সঙ্গে মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর পর থেকে আমার মেয়েকে মারধর করতো জামায় রাজিব। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। মেয়ে ও নাতির সুখের কথা ভেবে ভ্যান চালিয়ে নগদ ২৫ হাজার টাকাও দিয়েছি তাকে। জামায় রাজিব মাদকাসক্ত। মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরে প্রায় মেয়েকে নির্যাতন করতো। মাদক সেবনে নিষেধ করলেই নির্যাতনের মাত্রা তীব্র হতো। এই নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মারধর ও নির্যাতন করবে না মর্মে রাজিব আমার মেয়েকে নিয়ে যায়। এরপরও থেকে থামেনি রাজিব।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজিব মাদক সেবন করে ঘরে ফিরে মাতলামো শুরু করে। আমার মেয়ে মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে মারধর করে রাজিব। খবর মেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে আমাকে, আমার শালী ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। আমাদের সামনেই রাজিবের সাথে তার মা লিপি খাতুন যোগ দিয়ে আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে এবং ওড়না দিয়ে গলাই ফাস দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে মেয়েকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসনাত পারভেজ শুভ দৈনিক মাথভাঙ্গাকে বলেন, সুমি খাতুনের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।

দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More