দর্শনা কেরুজ ডিহিকৃষ্ণপুরে খামার দিবস অনুষ্ঠানে করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপু

বহুকাল ধরে এলাকার চাষিদের রক্তের সাথে মিশে আছ আখচাষ

বেগমপুর প্রতিনিধি: দর্শনা কেরুজ চিনিকটি এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের একমাত্র চালিকা শক্তি। আর এ চিনিশিল্পর কাঁচামাল হচ্ছে আখ। তাই বেশি বেশি আখ লাগায় চিনিশিল্পের প্রাণ বাঁচাই। উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কৃষি বিভাগের আয়োজনে ডিহি কৃষি খামার প্রাঙ্গণে এলাকার আখচাষিদের নিয়ে মাঠ দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। প্রধান অতিথি আরও বলেন, কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কৃষিকে অধিক অগ্রাধিকার দিয়েছে। কৃষিই দারিদ্র বিমোচনের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। এ লক্ষ্যে ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও বীজ সরবরাহ, কৃষি উপকরণে প্রণোদনা প্রদানসহ কৃষি গবেষণা করে যাচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা কৃষক এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস। এখনও এ দেশের বিপুল জনসংখ্যার কর্মসংস্থানও হয়ে থাকে কৃষিকে অবলম্বন করেই। ফলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রায় মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে কৃষিক্ষেত্রে যে অধিকতর মনোযোগ দিতে হবে। সরকার সেটি অনুধাবন করেই সামনে এগুচ্ছে। ফলে কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব প্রতিফলন। সেই ১৯৩৮ সাল থেকে এলাকার কৃষকেরা আখ চাষ করে এ চিনিশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেরু চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো.আবু সাঈদ। মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গিয়াস উদ্দিনের উপস্থপনায় অনুষ্ঠনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, মহাব্যবস্থপক (অর্থ) রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থপক (প্রশাসন) শাহাব উদ্দিন, শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু আরও বলেন, চিনিশিল্পের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক হচ্ছে আখচাষিরা। তাই এলাকার চাষিদের রক্তের সাথে মিশে আছে আখ চাষ। আখ চাষের সাথে সাথি ফসলের চাষ করলে চাষিরা কোনোভাবেই লোকশান করবে না। দুঃখ জনক হলেও সত্য আখচাষিদের সরকার কৃষক হিসাবে গণ্য করে না। অন্যন্য ফসল উৎপাদনকারি কৃষকের যে সকল সুযোগ সুবিধা সরকার দিয়ে থাকে আখ চাষে সে সব সুযোগ সুবিধা চাষিরা পায় না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকদের যেভাবে সরকার সহযোগিতা করে থাকে আখ চাষিদের যাতে সে সহযোগিতা করে বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে ধরা হবে। কারণ কৃষকেরা যে চাষই করুক না কেনো তারা একে অপরের পরিপূরক। তাই আমার বিশ্বাস চিনিশিল্পকে বাঁচাতে এলাকার চাষিরা সাথি ফসলের সাথে আখ চাষ করবে। বাঁচবে চিনিশিল্প আর্থিকভাবে লাভবান হবে কৃষক। বর্তমানে যে সমস্ত আখের জাত চাষ আছে তাতে চিনির পরিমাণ কম। তাই ভালো জাতের আখ চাষ হয় তার দিকে নজর দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই চাষিদের মাঝে ভালো মানের আখের বীজ সরবরাহ করা হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির ব্যবস্থাপক মিলস ফার্ম, জিল্লুর রহমান ব্যবস্থাপক উৎপাদন, আব্দুল হালিম উপ-ব্যবস্থাপক উৎপাদন, আব্দুস সালাম সহ-ব্যবস্থাপক হিসাব, আব্দুর রউফ ডিজিএম স্প্রে, এমদাদ হোসেন এসএসিডিও (ফার্ম), কৃষক সামসুল ইসলাম, আব্দুল বারি, ওমর আলী প্রমুখ। মঞ্চে উপস্থিতির আগে প্রধান অতিথি ডিহি কৃষি খামারের জে-ব্লকে চিনিকলের কর্মকর্তাদের আখের সাথে বিভিন্ন ধরনের সাথী ফসলের চাষবাদ ঘুরে দেখেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More