দামুড়হুদার কুমারীদহ গ্রামে গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে রহস্যের জট

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জয়রামপুর কুমারীদহ গ্রামে গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধূ নুরজাহান খাতুনের মরদেহ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের জট বেঁধেছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে এখনি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, ময়না তদন্তের রিপোর্টে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত আট বছর পূর্বে জীবননগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে নুরজাহান খাতুনের সাথে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কুমারীদহ পাড়ার মোস্তফার ছেলে হাসিকুলের বিবাহ হয়। এর এক বছর পর তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়। এর কয়েক বছর পর থেকেই তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাসিকুল ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিক কলহ আরো বৃদ্ধি পাই। গত কয়েক মাস পূর্বে হাসিকুলের ১ম স্ত্রী নুরজাহান খাতুন স্বামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ওয়ারেন্ট বার হলে হাসিকুল নিজেকে বাঁচাতে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেন এবং নুরজাহান কে পটিয়ে মামলা তুলে নিতে বলেন। ৭জুন রোববার সকালে হাসিকুল শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরেন এবং কিছু সময় পর মোবাইলে নুরজাহান কে তার বাড়িতে আসতে বলেন। স্বামীর কথামতো নুরজাহান বাড়িতে আসলে তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করা হয়। এ সময় নুরজাহান তার বাবার বাড়িতে মোবাইল করে বলেন এরা আমাকে বাঁচতে দিবে না। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যুর খবর পাই পরিবার। ওই দিন রাতেই দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন এবং পরদিন ময়না তদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। নিহতের ভাই রাশিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকেলে আমার বোন তার স্বামীর কথা মতো শ্বশুর বাড়িতে যায়। কিছু সময় পর সে আমার নানীর মোবাইলে কল করলে আমি কথা বলি। তখন সে বলে এরা আমারে আর বাঁচতে দিবে না। এর আনুমানিক আধাঘন্টা পর খবর পাই আমার বোন আর বেঁচে নেই। ওরা আমার বোনকে হত্যা করেছে আমি এর বিচার চাই। দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More