ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:- দামুড়হুদার তালসারী ডিসি ইকোপার্কের পাশে ৫ একর ৮৫ শতক মালিকানা জমি জোর পূর্বক একদিল শাহর মাজারের নামে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কতিপয় ব্যক্তি একদিল শাহর ভক্ত দাবি করে তারা বাগানটিতে কয়েকটি বৃক্ষ রোপন করে। দামুড়হুদার নাটুদা ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের মৃত মওলা মাস্টারের ছেলে বাহালুল হক জানান ১৯৬৬ সালে ক্রয়সুত্রে জমির মালিক আমার বাবা।এস এ, আর এস রেকর্ড আমার বাবার নামে।কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকজন ফকিরি মতের মানুষ মিলে আমাদের ক্রয়কৃত ভোগদখল করা জমিতে একদিল শাহর মাজার আছে বলে জমিটি জোর পূর্বক দখলে চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান আলমডাঙ্গা উপজেলার বেতবাড়িয়া গোবিন্দপুর গ্রামের মাঝামাঝি রয়েছে একদিল শাহর মাজার। তাকে সেখানে সমাহিত করা হয়। প্রতিবছর সেখানে অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও চ্যানেলে নিউজ হয়েছে একদিল শাহর আলমডাঙ্গা বেতবাড়িয়া গোবিন্দপুর গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত মাজার নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সকলেই জানে একদিল শাহর প্রকৃত মাজার ওখানে। কিন্তু হঠাৎ করে একটি স্বার্থানেষী মহল আমাদের জমিতে মাস খানেক পূর্বে ইট দিয়ে একটি কবর মত গেঁথে বলছে এখানে একদিল শাহর মাজার।তারা কিছুদিন আগে এখানে অনুষ্ঠান করে পরে গাঁজার আসর বসিয়েছে। আমাদের এ জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। তারপরও তারা জোর করে দখলের চেষ্টা করছে। আলমডাঙ্গা
বেতবাড়িয়া গোবিন্দপুর একদিল শাহ মাজারের খাদেম ইউনুস আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান একদিল শাহর মাজার এখানে। শত শত বছর ধরে আমার বাপ দাদারা এখানে অনুষ্ঠান করে আসছে।কার্পাসডাঙ্গার মাজার দাবী করা বিষয়টা হাস্যকর। এ বিষয়ে জানতে একদিল শাহ ভক্ত অনুসারী দাবীকৃত সাধুদের সাথে কথা বলতে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন আমরা দেখে আসছি আমবাগানটি মাওলা মাস্টার দীর্ঘ বছর থেকে ভোগদখল করে আসছে। পরে শুনছি এখানে একদিল শাহর নাম করে কিছু সাধু জমিটি দখলের চেষ্টা করছে। মাজারের নামে কারো মালিকানা জমি দখলের চেষ্টা খুবই দু:খজনক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাগানটি দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষে মধ্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান নাটুদা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই শভ্রুজিৎ পাল। এ বিষয়ে এস আই শুভ্রজিৎ পালের সাথে কথা বললে তিনি জানান বাগান মালিক বাহালুল হকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে অবস্থানরত সাধুদের সাথে কথা বললে তারা দাবী করে আমাদের এখানে ৭ শতক জমি আছে সেখানে আমরা বৃক্ষ রোপন করছি। আমি আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশনা প্রদান করে আসি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বালিকা বিদ্যালয়ে গাছের চারা বিতরণ
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.