স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার রামনগরে আগুনে দগ্ধের একদিন পর শিশু আরিশা (৫) মারা গেছে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়। শিশু আরিশার বাবা কলম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাবা-মা। এর আগে, গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে রামনগর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু আরিশা রামনাগর গ্রামের রাজমিস্ত্রী কলমের মেয়ে।
শিশু আরিশার বড় চাচি বলেন, শনিবার দুপুরে শয়নকক্ষে শিশু আরিশা ও তার মা ঘুমাচ্ছিল। এ সময় আরিশার ছোট ভাই দিয়াশলাই বা গ্যাসলাইট নিয়ে খেলার সময় রান্নাঘরে থাকা পাটখড়ি ও কাঠে আগুন লেগে যায়। এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে শয়নকক্ষে। বিষয়টি টের পেলে তাড়াতাড়ি করে মা বের হয়ে এলেও মেয়ের ঘুমিয়ে ছিলো সেই কথা মনে ছিলো না। পরে আগুনের উত্তাপ ছড়ালে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে দগ্ধ অবস্থায় শিশু আরিশাকে ভেজা কাপড় দিয়ে উদ্ধার করা হয়। এরপর দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরিশাকে।
শিশুটির বাবা কলম আলী বলেন, আমি খুব অসহায়। রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। ডাক্তার বলেছে মেয়ের অবস্থা ভালো না। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে। সে সময় আমার নিকট টাকা ছিল না। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও হাসপাতালে থাকা কিছু লোকজন এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আজ (রোববার) বিকেল ৫টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় মেয়েটা মারা যায় বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এদিকে, গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১১টার দিকে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ শেষে মরদেহ চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ত্যাগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
জীবননগরের আন্তঃপৌর ওয়ার্ড ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.