দামুড়হুদার সদাবরীতে অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী হয়েছেন মা

জাহাজপোতা গ্রামের আলাল-নাজিনা দম্পতির হেফাজতে নবজাতক

হাসমত আলী: দামুড়হুদার সদাবরী গ্রামে মা হয়েছেন এক মানসিক প্রতিবন্ধী। অজ্ঞাত নারী মা হলেও সন্তানের পিতৃপরিচয় জানা যায়নি। অজ্ঞাতনামা ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে হঠাৎ সদাবরী গ্রামে সাধারণ মানুষ দেখতে পায়। তার প্রকৃত নাম ঠিকানা কেউ জানে না। কোথা থেকে এসেছে তা কেউ বলতে পারছে না।

জানা গেছে, গত ২৪ জুন রাতে সদাবরী গ্রামের আলী নাপতির বাড়িতে ওঠে ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারী। ২৫ জুন শনিবার ভোরে প্রসব বেদনায়  ছটফট করতে থাকেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে আলী নাপতি ও তার পরিবারের লোকজন দ্রুত গ্রামের এক ধাত্রীর শরণাপন্ন হন। ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা হন মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী। গত শনিবার বেলা ২টার দিকে স্থানীয়রা কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন, স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বিপুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে গ্রামের ফেরদৌস মাস্টারের হেফাজতে দেয়া হয় ওই নারীকে। পরে ফেরদৌস মাস্টার তার ভায়রা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের জাহাজপোতা গ্রামের আলাল উদ্দীন ও নাজিনা খাতুন দম্পতির হেফাজতে দেন। ওই দম্পতির ১১ বছরের সংসারে কোনো সন্তান না হওয়ার কারণে তারা সন্তানের দায়িত্বভার নেন।

শিশুর দেখভালের দায়িত্বে থাকা আলাল ও তার স্ত্রী জানান, আমাদের ১১ বছর বিবাহিত জীবনে কোনো সন্তান না আসার কারণে আমাদের একটি সন্তানের খুব প্রয়োজন ছিলো। আমরা মেয়েটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালনের চেষ্টা করবো। শিশুটির নাম রেখেছি জান্নাত আনিসা। সদ্যপ্রসূত কন্যাসন্তানের মা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি যেমন কিছু বলতে পারেননি। এক পর্যায়ে তিনি জানান তার নাম সোহাগী, স্বামী শাহিন প-িত রিকশা চালান ঢাকার রাঙ্গাবালী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি আলোকদি, পিতা আলতাফ গাজী, মাতা সেলিনা বেগম।

এ বিষয়ে কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর সন্তান প্রসবের সংবাদ শোনার পর আমি লিখিতভাবে সদাবরী গ্রামের ফেরদৌস মাস্টারের হেফাজতে রেখেছি শিশু কন্যাকে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More