দামুড়হুদায় করোনা আক্রান্ত পরিবারের লোকজন মানছেন না লকডাউন

দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদা দশমীপাড়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাড়িটি সরকারিভাবে লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা টাঙানো হলেও পরিবারের লোকজন তা মানছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মহল্লাবাসী। মহল্লার একাধিক ব্যক্তি মোবাইলফোনে অভিযোগ করে বলেছেন, ওই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও পরিবারের বাকী লোকজন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইচ্ছাখুশি বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চালাচ্ছেন ব্যবসা বাণিজ্য। ফলে করোনার প্রাদুর্ভাব পুরো মহল্লায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনা সংক্রমণরোধে প্রয়োজনে ওই বাড়ির সামনে পুলিশি চৌকি বসানোর দাবি জানিয়েছেন মহল্লাবাসী। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভ বলেছেন, আমার কাছেও মহল্লার অনেকেই ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে করোনায় আক্রান্ত হামিদের বোন রিজিয়াকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গতকাল শুক্রবার উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। আজ শনিবার তার বাড়ি লকডাউন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দামুড়হুদা দশমীপাড়ার করোনা হামিদের স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা টাঙানো হয় এবং পরিবারের লোকজনকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত গৃহবধূকে ওই দিনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিন অর্থাৎ ১ জুন বুধবার করোনা পজিটিভ গৃহবধূর স্বামী আব্দুল হামিদ, দুসন্তান ও ননদ রিজিয়া খাতুনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২ জুন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়। রিপোর্টে ওই গৃহবধূর স্বামী ও ননদের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার কথা জানানো হয়। ২ জুন রাতে হামিদকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিনি সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আরও বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হবেন না। নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে দুইহাত ভাল করে ধৌত করুন, জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করুণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More