দামুড়হুদায় চাঁদা না পেয়ে অসহায় নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট সেনা ক্যাম্পে অভিযোগের পর অভিযুক্ত সাইফুল গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার মাদরাসাপাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকের কাছে চাঁদা না পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও গয়না লুটপাটের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে যোথ বাহিনী। গত পরশু শুক্রবার যোথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতার করে। এ সময় গ্রেফতারকৃতর নিকট হতে মাদক পাওয়া যায়। তবে ডাকাতি ও লুটপাটের নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের কিছুই পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা মাদরাসাপাড়ার জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী স্বপ্না খাতুন বাড়ির পাশ্ববর্তী আরও একটি বাড়ি নির্মাণ কাজ করে আসছিলেন। তার স্বামী কাজের সুবাদে ঢাকাতে অবস্থান করায় তিনি নিজেই নির্মাণ কাজের দেখভাল করেন। এমতাবস্থায় এলাকার তিন ব্যক্তি বিভিন্নভাবে তার নিকট চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে ভুক্তভোগী অস্বীকার করেন। এরপর ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে হঠাৎ করে অভিযুক্ত মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম (৩৫), তার সহযোগী নয়ন (৩৩) ও সাইদুরসহ (৩৫) বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তার বাড়িতে ঢুকে চাঁদার টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী নারী টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত সাইফুল ও তার সঙ্গীরা অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে তাকে মারধর করে। এ সময় ভুক্তভোগীর হাতে, গলায়, কানে ও হাতের আঙুলে থাকা সোনার গয়নাগুলো ছিনিয়ে নেন। এরপর ভুক্তভোগীর বাড়ির আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ২ লাখ টাকাসহ আরও কিছু গয়না লুট করেন। ভুক্তভোগী নারী যাতে ডাক চিৎকার না করে সে জন্য তাকে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অভিযুক্তরা। সেনা ক্যাম্পের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল দামুড়হুদা উপজেলা সদরের মাদরাসাপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে ভুক্তভোগী এক নারীকে মারপিট করে নগদ টাকা, গয়না ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দিন অভিযুক্তদের নামে চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্পে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্পের অভিযান দল অনুসন্ধান এবং নজরদারি চালাতে থাকে অভিযুক্তদের ওপর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মে প্রধান অভিযুক্ত আসামি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট মাদক পাওয়া যায়। কিন্তু লুট হওয়া নগদ টাকা ও অলঙ্কার উদ্ধার করা যায়নি। লুট হওয়া টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে দামুড়হুদা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.