দামুড়হুদায় চুলের তৈরি ক্যাপ রফতানি হচ্ছে চীনে

হাজারো বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ

হাসমত আলী: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার এলাকা এখন বাংলাদেশের চুল ব্যবসায়ী এলাকা হিসেবে পরিচিত। কার্পাসডাঙ্গার ব্যবসায়ীদের চুল (মেয়েদের মাথার পরিত্যাক্ত চুল) প্রসেসিং করে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এতে করে চুল থেকে মোটা অঙ্কের বৈদেশিক টাকা আয় হচ্ছে বাংলাদেশে। চুল ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এবার কার্পাসডাঙ্গায় নতুন সংযোজন হয়েছে চুলের ক্যাপ তৈরি।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে প্রসেসিং করা চুল চীনে রফতানি করা হয়। পরে চীনা ব্যবসায়ীরা আবারো সে চুল বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। তাদের কর্মীদের মাধ্যমে তৈরি করা ক্যাপ আবারো চলে যায় চীনে। আর এ প্রথম চুয়াডাঙ্গা জেলায় চুলের ক্যাপ তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার রজব আলীর বাড়িতে। একজন কারিগর দিনে ২টা ক্যাপ তৈরি করতে পারে। যাদের প্রতি মাসে বেতন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার করে দেয়া হয়। এ কারখানায় একজন সুপারভাইজার আছে ও একজন প্রশিক্ষক আছে যা প্রথমে কারিগরদেরকে হাতে কলমে শিখানো হয়। প্রশিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন, আমি ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি। এখন নতুন এ কারিগরদের ক্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়ার পর এক মাস ধরে আমাদের এ কারখানায় ক্যাপ তৈরি করছি। যা আমরা গত মাসে প্রায় ১০০ পিস ক্যাপ চাইনাতে চালান দিয়েছি। কারখানাটির পরিচালক শরিফুল ও আলামিন জানান, বর্তমানে ক্যাপ তৈরির এ কারখানাটিতে ৪০ জন ছেলে-মেয়ে কাজ করছেন। এ কারখানাটির কারণে বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, এ কারখানাটিতে আরও শ্রমিক নেয়া হবে। তাছাড়া আলামিন আরও জানান, সারা বাংলাদেশে তাদের ৯টি ক্যাপ তৈরির কারখানা রয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে আরও তিনটা কারখানা করা হবে বলেও জানান তিনি। আর এ কারখানার মাধ্যমে হাজারো বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলেও জানান। এখানে কাজ করতে আসা অনেকে জানান, এ কারখানাটির কারণে তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আজ আর চাকরির জন্য ঢাকাতে কোনো গার্মেন্টেসে ছোটাছুটি করতে হবে না। বাড়িতে থেকেই এ কারখানায় কাজ করে তারা আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন। আলামিন জানান বয়রার শরীফ, পীরপুরকুল্লার রমজানসহ কয়েকজন এ কারখানাটি পরিচালনার সাথে জড়িত। তার এলাকার হাজারো বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কারখানাটি কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে এলাকার বেকার যুবক যুবতীরা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক স্বাবলম্বী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
1 টি মন্তব্য
  1. Akhi বলেছেন

    আমাদের এদিকে ১০০ জন বেকার নারী আছে যারা এই কাজে প্রশিক্ষিত। দয়া করে কেউ সাংবাদিক ভাইয়ের নাম্বার দিন। ১০০ টা পরিবার খুব অসহায় দিন যাপন করছে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More