দামুড়হুদায় সোনালী আঁশ পাট কাটা-পঁচানোয় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা : দাম নিয়ে শঙ্কা

দামুড়হুদা অফিস: বর্ষা মরসুমের ফসল সোনালী আঁশ পাট। আর এ ফসল কাটা-পচাঁনোয় ব্যস্ত সময় পার করছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার চাষিরা। তবে ভরা মরসুমেও পাট পঁচানো নিয়েও রয়েছে চাষিদের মধ্যে দুঃচিন্তা। এসময়ে বিভিন্ন নদ-নদী, পুকুর, জলাশয়গুলো বর্ষার পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। কিন্তু এ মরসুমে এখনও সেগুলো রয়েছে পানিশূণ্য। যার ফলে বর্ষার পানিতে পাট পঁচাতে না পারলে চাষিদের লাভের সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে চলতি মরসুমে পাটের দাম নিয়েও শঙ্কিত চাষিরা।
জানা গেছে, চলতি মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৯শত ৪৫ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও তা অতিক্রম করে চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৫শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে এ উপজেলায় পাট কাটা ও পঁচানোর কাজ শুরু করেছে চাষিরা। পাট লাগানো থেকে শুরু করে শুকানো পর্যন্ত বিঘা প্রতি চাষিদের খরচ হয়ে থাকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে বাজার দাম ভালো পাওয়ার আশাও করছে চাষিরা। সোনালী আঁশ পাট পঁচানোর জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে পাট চাষিদের। পাটচাষি লোকনাথপুর গ্রামের তারিকুল ইসলাম জানান, চলতি মরসুমে ৪বিঘা জমিতে পাটের আবাদ রয়েছে। পাট গাছও বেশ ভালো হয়েছে। আর ভালো ফলন ও দাম পাবো বলেও আশাবাদী। কিন্তু আমি পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছি। এবার এখনও তেমন ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এলাকায় নিচু জলাশয়ে পানি জমেনি। যদি পাট জাগ দেয়ার মতো বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে মাঠ থেকে দূরে ভৈরব নদীতে পাট নিয়ে জাগ দিতে হবে। আর এতে করে খরচ বেশি হবে এবং লাভের অংশ কমে আসবে।
পাটচাষি আ.লীগ নেতা মোক্তারপুর গ্রামের সাইদুর রহমান টোকন জানান, এ মরসুমে আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ২ বিঘা জমির পাট কর্তন করেছি। তবে এবার বর্ষা মরসুমে আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় পাট পঁচানো নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজামান বলেন, চলতি সোনালী আঁশ মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এ মরসুমে বর্ষায় ভারি বর্ষণ না হওয়ায় কৃষকরা এখনও পুরোদমে পাট কর্তন শুরু করেনি। তবে কিছু কৃষকরা পাট কর্তন শুরু করেছে। বর্ষায় বৃষ্টি নামলেই পাট কর্তন পুরোদমে শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি বৃষ্টিপাত না হলে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচালে অল্প খরচে পাট পঁচানো সম্ভব। এ পদ্ধতিতে পাটের মানও ভালো হয়।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More