স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বিয়ের দাবিতে দেবরের ঘরে বিধবা ভাবীর অবস্থান করার ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, হাউলি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মোল্লা পাড়ার জমির দুই বছর আগে মারা যায়। কিন্তু জমির উদ্দীনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লতিফা খাতুনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে ইসলাম দোয়াত মন্ডলের ছেলে লতিফার দেবর মমিনর সাথে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার দেহভোগ করতে থাকে। পরবর্তীতে লতিফাকে বিয়ে না করায় বিয়ের দাবী নিয়ে লতিফা গত শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে দেবর মমিনের বাড়ি অবস্থান নেই। এ বিষয়ে লতিফা জানান, মমিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার দেহভোগ করেছে। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের কথা বললে সে আমাকে ঘোরাতে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার রাতে বাড়ি উঠে পড়ি। পরে তারা আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমি বিচার চাই। তার সাথে আমার বিয়ে না হলে মরা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এ বিষয়ে জানতে মমিনের সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। পরে মমিনের স্ত্রী জানান, লতিফার লোকজন আমাদের মারধর করেছে। তার সাথে আমার স্বামীর সম্পর্ক সে তো কোনদিন আমাকে বা আমার শুশুরকে বলেনি। সে কেন আমার সংসার নষ্ট করতে আসছে। স্থানীয় অনেকে নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন বিধবা লতিফা অসহায় একটা মেয়ে। তার ন্যায় বিচার প্রাপ্য। লতিফা যাতে ন্যায় বিচার পাই তার সুব্যাবস্থা করতে মানবাধিকার সংস্থা, লোকমর্চা ওয়েভসহ সকল সংস্থাগুলোর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.