দুই আইসক্রিম ফ্যাক্টারিতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে দুই আইসক্রিম ফ্যাক্টারিতে জরিমানা করেছে। লাইসেন্স না থাকা, নকল মোড়ক ব্যবহার, মেয়াদ না থাকা ও নোংড়া পরিবেশ আইসক্রিম তৈরীর অপরাধে দুই ফ্যাক্টারির মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা জামজামি সড়কের হাউসপুর এলাকায় শাপলা সুপার আইসক্রিম, মুছা সুপার আইসক্রীম ও ফুয়াদ সুপার আইসক্রিম নামক তিনটি ফ্যাক্টারি রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন আইসক্রিম তৈরী করে নামি দামি ব্রান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এসব আইসক্রিমে উৎপাদনের কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ নেই। ৭ জুন চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও আলমডাঙ্গা থানা এসআই মাহদুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হন আইসক্রিম ফ্যাক্টারিতে। প্রথমে শাপলা সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টারিতে গিয়ে দেখতে পান নোংড়া পরিবেশে আইসক্রিম তৈরী হচ্ছে। নামি দামি ব্র্যান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে তা বাজারজাতও করা হচ্ছে। সেসব মোড়কে নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। এসব অপরাধে শাপলা সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টারির মালিক মিরাজ আলীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ দিনের জন্য ফ্যাক্টারি বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এরপর মুছা সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টারিতে অভিযান চালিয়ে মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে ফুয়াদ আইসক্রিম ফ্যাক্টারিতে তালা লাগিয়ে লোকজন সটকে পড়ে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More