নিয়ম অমান্য করে ইট পোড়ানোয় ৪ ইটভাটাকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ও দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। এসময় নিয়মনীতি অমান্য করে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর অভিযোগে ৪টি ইটভাটাকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ নষ্ট করে অবৈধভাবে ইটভাটা ইট পোড়ানো হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ এর বিভিন্ন ধারায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়িপাড়ার এপেক্স ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, একই এলাকার সুমিরদিয়া গ্রামের এমএএস ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের এমএনএন্ডবি ব্রিকসকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একই উপজেলার বাগাডাঙ্গা গ্রামের রাইসা ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় নিয়ম মেনে ইটভাটা পরিচালনা করতে মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়।
ঢাকা পরিবেশ অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন জানান, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা জেলার অধিকাংশ ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করা, কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা, অনুমোদন ব্যতিত মজা পুকুর বা খাল বা নদ-নদী বা পতিত জায়গা থেকে ইট তৈরির জন্য মাটি কেটে তা ভাটায় পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না নিয়ে নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা স্থাপনসহ বিভিন্ন অপরাধে ওইসব ইটভাটা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদফতর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮৬ টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার মধ্যে মাত্র ২৬টি ভাটা বৈধ। বাকি ৬০টি ইটভাটার মালিকেরা ন্যূনতম আইন মানেন না। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা আছে দামুড়হুদায় ২৭টি, যার মধ্যে ২০টি ভাটা অবৈধ। নিয়ম ছাড়াই বেশির ভাগ ভাটাই ইট পোড়ানো হচ্ছে। অভিযানে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহযোগিতা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More