নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ আটক ৪ মাদকসেবিকে কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পৃথক অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক অভিযান চালিয়ে নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ ৪ মাদকসেবিকে আটকের পর কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার পৃথক সময় শহরের ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। গতকালই সাজাপ্রাপ্ত চারজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া। সাজাপ্রাপ্ত ৪ মাদকসেবি হলেন, চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার মৃত মানিক আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৫), শহরতলীর দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মানিক (৪০), একই এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে নাসির আলী (৫০) এবং দৌলাতদিয়াড় চুনুরীপাড়ার মৃত মতলেব আলীর ছেলে তোতা মিয়া (৪৫)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়ার নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরীয়ত উল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ চুয়াডাঙ্গা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালান। অভিযানকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার আ. মান্নানকে ২ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের কারাদ- ও একশ টাকা অর্থদ- প্রদান করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া। পরে বেলা ৩টার দিকে শহরতলীর দৌলাতদিয়াড়ে মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে অভিযান চালায় একই টিম। সেখান থেকে আটক করা হয় দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মাদকসেবি মানিক ও নাসির আলীকে। তাদের দুজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুই অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের দুজনকে তিন মাস করে কারাদ- ও একশ টাকা করে অর্থদ- প্রদান করা হয়। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলাতদিয়াড় চুনুরীপাড়ার তোতা মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে ২ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। তাকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদ- ও দুইশ টাকা অর্থদ- প্রদান করেন। গতকালই সাজাপ্রাপ্ত চারজনকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More