নৌকার অফিসে আগুন স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর (নৌকা) নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আগুন দেয়া হয়েছে নৌকায়। ভাঙচুর করা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়। উভয় প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ওই এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। টহল দিচ্ছে র‌্যাব।
ওই ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এর আগে ভোর ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বড় বোয়ালিয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) নাহিদ হাসনাত সোহাগ জানান, আমি ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভাংবাড়িয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ বাবলু। তিনি নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাবলু চেয়ারম্যানের ভাই ডিএমপিতে কর্মরত এএসআই মিজান সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। মঙ্গলবার রাতে নৌকার একটি অফিসও থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছিলেন মিজান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ভোর ৪টার দিকে আমার বড় বোয়ালিয়া গ্রামের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায় তারা। তার সাথে ছিল বিএনপির ক্যাডার হবিবার, তার ছোট ভাই নাকিব, জামায়াতের রোকন বিল্লালসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় তারা নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেয় নৌকায়। ঘটনার পরপরই আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। ওই ঘটনায় আজ দুপরে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
আপরদিকে, একই গ্রামের পূর্বপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) কাওসার আহমেদ বাবলু জানান, আমার শান্ত গ্রামকে কিছু সংখ্যক লোক অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বসতবাড়িতে হামলা করেছে। আমার অফিস ভাঙচুর করেছে। আমরা তাদের অফিস ভাঙচুর করিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ও মেহেরপুর গাংনী র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More