পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় টোটন জোয়ার্দ্দার

আগামীতে নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো

স্টাফ রিপোর্টার: জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আগামী নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। আসন্ন পৌর নির্বাচন নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। পৌর আওয়াম লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলার সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. বেলাল হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম শাহান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ ও সাংবাদিক নাজমুল হক স্বপন বক্তব্য রাখেন। উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে শাহ আলম সনি, রেজাউল করিম লিটন, আবুল হাসেম ও হুসাইন মালিক বক্তব্য রাখেন।
সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম তার সময়ের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে ক্ষমতারও ধারাবাহিকতা দরকার। আগামীতে নির্বাচিত হলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিয়েই আমি স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে মানুষ স্বপ্ন দেখে। কিভাবে উন্নয়ন হবে। আমরা অনেক সরল-কঠিন সমীকরণ করছি। পেশাজীবী, সাংবাদিক ও অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণ করছি। ইলেকশন একটি প্লাটফরম। মেয়রের ঘাড়ে অনেক চাপ। ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের বেতন সরকার দেয়। পৌরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন দেয়। বর্তমান পরিষদ আমার পরিষদের চেয়ে পিছিয়ে। এ লোড যার তার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। আমার ভাই সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন সন্ত্রাস দমন করেছেন। আজ শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে অশান্তির চুয়াডাঙ্গা। ২০০৮ সালের আগে এটা সম্ভব ছিলো না। আমি প্রতি মুহূর্তে শিখি-শিখবো। মেম্বারের কাছ থেকে দায়িত্ব নেয়া চ্যালেঞ্জ। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আমি কিছুদিন জেলখানায় ছিলাম। জেলখানায় বসেই পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করি। ঘাম শুকানোর আগেই মজুরি পরিশোধ করতে হয় এটা আমি মানি। কারো সাথে হিংসায় যায় না। দলের ভেতরে হোক-বাইরে হোক। বর্তমান মেয়র বিশ্ব বসতি দিবসে দায়সারা বক্তব্য রেখেছেন। আমি মেয়র থাকাকালীন ইতালির নেপলী শহরে সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশ নিই বিশ্ব বসতি দিবসে। যতো মানুষের কাছে যাওয়া যায় জ্ঞান আহরণ করা যায়। করের টাকায় উন্নয়ন হয় না। ইউজিপ-৩ আমার সময়ের বরাদ্দ। ৮০ কোটি টাকা প্রজেক্ট। যার অর্ধেকও বাস্তবায়িত হয়নি। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আমার সময়ের। ৮ মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষ। পৌরসভার বিল বাকি। বিদ্যুত লাইন দিচ্ছে না। দাতারা ফোন করে বলেন জোয়ার্দ্দার তোমাকে চিনতে পারলো না চুয়াডাঙ্গার লোক। যারা কাজের মানুষ তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। প্লিজ হিংসা করবেন না। আমার চেয়ে বেটার ক্যান্ডিডেট হলে তার পাশে থাকবো। বুদ্ধি দেবো। আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। চুয়াডাঙ্গা এগিয়ে নিতে চাই। ক্ষমতায় থাকলে চুয়াডাঙ্গার আমুল বদলে যেতো। বিশ্ব দরবারে শেখ হাসিনা ক্ষমতাধর নারী হিসেবে পরিচিত। পিছিয়ে পড়া চুয়াডাঙ্গাকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে চাই। চুয়াডাঙ্গাকে এক জায়গায় নিতে চেয়েছি, পারিনি। ব্যর্থ হয়েছি। চুয়াডাঙ্গা উন্নয়নের ইঞ্জিন গন্তব্যে পৌঁছুবেই। গণমাধ্যমকর্মীরা সহযোগিতা করলে লক্ষ্যে পৌঁছুবেই। দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More