প্রায় ৩ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান শূন্যে আনার চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রায় ৩ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি। ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে দেশে আসা ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশন, হেরোইন আগুনে পুড়িয়ে ও রোলার দিয়ে পিষ্ট করে ধ্বংস করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরের মাঠে এসব মাদকদ্রব্য আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়। যার মূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মালিকবিহীন অবস্থায় ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশন, হেরোইন উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মাদক গুলো চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে সংরক্ষণ করা হয়। সেগুলোই ধ্বংস করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৫ হাজার ৮১৮ বোতল ফেনসিডিল, এক হাজার ৩৫৯ বোতল মদ, ২ বোতল বিয়ার, ৫৮ দশমিক ৬ কেজি গাঁজা, ৯ হাজার ৬৩৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৮০টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ২ হাজার ১৯৮টি ইনজেকশন ও ১০ দশমিক ৪ কেজি হেরোইন। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারাত হোসেন বলেন, বিজিবি সীমান্তে নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্রের দেয়া দায়িত্ব পালন করছে। মাদক প্রবেশে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থাকায় দেশে মাদক প্রবেশ অনেক কম গত বছরের চেয়ে। আমাদের সীমান্ত সড়ক না থাকায় অনেক ফাঁকা জায়গা দিয়ে চোরাকারবারীরা মাদক নিয়ে আসে। মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারাত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, বিজিবি হাসপাতালের পরিচালক লে.কর্নেল মাহবুব, ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক মেজর কাজী আসিফ আহম্মেদ, হাসপাতালের উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ রাশেদ উজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আহসান খান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আক্তার, বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহাকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক ও অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মাদক ও চোরাচালান বিষয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। চোরাকারবারিরা সীমান্তের তারকাঁটা অতিক্রম করে যেন কোনোভাবেই বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করাতে না পারে সে বিষয়ে বিজিবির সৈনিকরা সর্বদা সতর্ক রয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের সীমান্তে বিজিবির জোর টহলের কারণে মাদক ও চোরাচালান অনেক কমেছে। আমরা মাদক ও চোরাচালান শূন্যে আনার চেষ্টা করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More