ফিতনা-ফ্যাসাদ মুক্ত রাখাই হচ্ছে নেতৃত্বের সফলতা

গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমএ খালেক

গাংনী প্রতিনিধি: নব-নির্বাচিত মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ামর‌্যান এমএ খালেক বলেছেন, ব্যবসা হচ্ছে উত্তম সেবা। ব্যবসা সচল থাকলে দেশ সচল থাকে। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিশ্চিত করা যেমনি আইন শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব তেমনি অনুকুল পরিবেশ বজায় রাখতে রাজনৈতিক দলের আন্তরিক ভূমিকা প্রয়োজন। সফল নেতা তারাই যারা ফিতনা-ফ্যাসাদ মুক্ত রাখতে পারেন। বাজারে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ করে এমপির তীব্র সমালোচনা করেন এমএ খালেক।

গতকাল বুধবার গাংনী বাজার কমিটি কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দ্বিতীয়বারের মতো মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় গাংনী বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত এমএ খালেককে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বুলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখনে ব্যবসায়ী সংগঠন নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমএ খালেক মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের সাম্প্রতিক দুটি কাজের সমালোচনা করে বলেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও বাজারের ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে এমপি সাহেব নিজেই লোকজন নিয়ে বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলেন। আতংকিত হয়ে ব্যবসায়ী ও কাস্টমাররা নিরাপদে চলে গেলেন। তিনি আবার আল্টিমেটাম দিলেন হরতাল অবরোধ হবে। এটা কোন দায়িত্বশীল নেতার কাজ নয়। ব্যবসার অনুকুল পরিবেশ তৈরী করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন থেমে যাবে।

গাংনী বাজারে ব্যবসায়ীক পরিবেশ নিশ্চিত করতেই তিনি এমপির অবরোধ কর্মসূচী সফল করতে দেননি উল্লেখ করে বলেন, ৮০ সাল থেকে আমি ব্যবসা করে আসছি। এরপরে দলের নেতৃত্বে আসি। দীর্ঘদিন দরে দলের সাথে আছি। এই সময়ে আমি দেখেছি গাংনী বাজারে দুই ধরনের চাঁদাবাজ। রাজনৈতিক বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মসূচির নামে সকাল-বিকাল বিভিন্ন দোকানে অহরহ চাঁদাবাজি ছিলো। অপরদিকে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজী ছিলো। এই বহুমুখী চাঁদাবাজিতে জর্জরিত ব্যবসায়ী সমাজ। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি। এখন ব্যবসায়ীরা জানে না যে কখন কর্মসূচি হয়। কারণ তাদেরকে কর্মসূচির নামে আর চাঁদা দিতে হয় না।

গাংনী দারুচ্ছালাম জামে মসজিদ ঈমাম মাও. রুহুল আমিনের কোরআন তেলায়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গাংনী বাজার কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হাজি আলফাজ উদ্দীন, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিক, গাংনী বাজার মার্কেট মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক টুটুল মিয়া প্রমুখ। বক্তারা এমএ খালেকে ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More