মহেশপুর প্রতিনিধিঃঝিনাইদহরে মহেশপুরে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বৃহস্পতিবার সকালে ডাক বাংলো হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের আমি একজন সম্ভাব্য মনোয়ন প্রত্যাশী। আমি বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কিমিটির সদস্য,পেশায় আমি একজন আইনজীবী একজন ব্যারিস্টার। আমি ছাত্র জীবনে মহেশপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ছাত্রদলের মধ্যে দিয়ে রাজনীতি শুরু তাই আমি রাজনৈতিক ভাবে মহেশপুর কোটচাঁদপুরে মানুষরে জন্য কাজ করতে চাই। একজন সংসদ সদস্যের মূল দায়িত্ব হলো আইন প্রণয়ন করা। আইন পেশায় আমার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে আমি সেক্ষেত্রে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারবো বলে আশা রাখি। আমরা বিশ্বাস করি, উন্নয়ন শুধুমাত্র রাস্তা-ঘাট বা ভবন নির্মাণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি মানুষের নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, তাদের মৌলিক অধিকার ও উন্নয়নের দাবিগুলো জাতীয় পর্যায়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। তবে একথা সত্য যে, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম মাস্টার ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পরে এ এলাকায় ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছিল। ২০০৮ সালের পরে জনগণের ম্যান্ডেটহীন প্রতিনিধিরা এই ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে। আমি দল থেকে মননীত হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম মাষ্টারে মত উন্নয়নের ধারা অব্যাহিত রাখবো। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্রের উত্তরে তিনি বলেন,বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখন যে অবস্থায় আছে সরকার চাইলে কালই নির্বাচন করা সম্ভব এতে সংবিধানের কোন ব্যাপ্তই ঘটবে না। মানুষ কেনো তাকে ভোট দিবেন এমন প্রশ্রের উত্তরে বলেন,আমি মহেশপুরে ছেলে। ব্যারিস্টার হিসাবে আমি মহেশপুর কোটচাঁদপুর মানুষের বিপদে আপদে সবসময় পাশে ছিলাম। আইনি সহযোগিতা করেছি,অসহায় বাবার পাশে থেকে মেয়ের বিয়ে দেওয়া মত অর্থ দিয়ে আর্থিক ভাবে সাহায়্য করেছি। আমার কাছ থেকে কেউ কখনো সেবা না পেয়ে ফেরি আসেনি। তার ধারাবাহিকতায় সংসদ সদস্য হয়ে মহেশপুর কোটচাঁদপুর মানুষের বৃহত্তর সেবা করতে চাই। যা একজন ব্যারিস্টার হিসাবে তা করা সম্ভব নয়। মহেশপুর সীমান্তবর্তী এলাকা এখানে মাদকচোরা চালান এবং সীমান্ত হত্যাকান্ড হয় এই প্রশ্রে তিনি বলেন এটি একটি আন্তরাষ্ট্র সমস্যা। সেক্ষত্রে আমি মনে করি ভারত আমাদের সাথে যে বিগবিগার আচারণ করেছে এতে আমরা যদি ভারতের সাথে বাংলাদেশের জনগণ টু জনগণের সম্পর্ক স্থাপিত করতে পারি তাহলে এই ধরণের সীমান্ত হত্যাকান্ড চোরাচালান এইগুলো রোধ করা সম্ভব হবে আশা করি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.