বিভিন্ন অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
আলমডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় ভোত্তাধিকার অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান অভিযান পরিচালনা করেন। শহরের সুরেশ স্টোরে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা, ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যেরর সাথে শিশুখাদ্য রাখার অপরাধে ও শহরের অধিকারী মিস্টান্ন ভান্ডারে উৎপাদিত খাদ্যের মূল্য ও তারিখ না দেয়ার অপরাধে জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, জাতীয় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে জাতীয় ভোত্তা অধিকার অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানতে পারেন শহরের আনন্দধাম সড়কের সুরেশ স্টোরের ৭টি গোডাউনে মেয়াদোত্তীর্ন মালামাল রয়েছে। তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান রানাকে সাথে নিয়ে সুরেশ স্টোরে অভিযান চালিয়ে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা পান। সুরেশ স্টোরের পণ্যের মূল্যতালিকা নেই। সকল গোডাউনে মেয়াদত্তীর্ণ মালামাল রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মালামালের সাথে বিক্রয়যোগ্য মালামাল রেখে দিয়েছে। শিশু খাদ্যের লাইসেন্স না করে শিশু খাদ্য বিক্রয় করছে। এ সকল অপরাধের ভিত্তিতে সুরেশ স্টোরের মালিক অমিত সাহাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ও ৪৫ ধারায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সুরেশ স্টোরের মালিককে ৭টি গোডাউনের মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল পরিস্কার করার জন্য এক মাস সময় দিয়ে যান। এরপর শহরের চারতলার মোড়ের অধিকারী মিস্টান্ন ভান্ডারে অভিযান চালান। অধিকারী মিস্টান্ন ভান্ডার প্রতিষ্ঠানের মালিক হারান অধিকারীর বিএসটিআই“র লাইসেন্স থাকার পরও দই“র পাতিলের গায়ে উৎপাদন ও মেয়োদোত্তীর্ণর তারিখ না দেয়ার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় আলমডাঙ্গা থানার এসআই ওয়াহেদ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.