ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কোয়ারেন্টিনের জন্য যশোরের ১৬ হোটেল প্রস্তুত

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের কোয়ারেন্টিনের জন্য যশোর শহরের ১৬টি হোটেল রিকুইজিশন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ছাড়াও তারকাসমৃদ্ধ হোটেলও রয়েছে।এখানে স্থান সংকুলান না হলে আশপাশের চার জেলার হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো, সাতক্ষীরা, খুলনা, ঝিনাইদহ ও নড়াইল।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় যশোরের হোটেল মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ধারণার চেয়ে বেশি আসছে ভারতফেরত মানুষ। বেনাপোলের হোটেলগুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ এতিমখানা ও মাদরাসার ভবনও পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে ২০২ জনকে রাখা হয়েছে। যে কারণে এখন যশোর শহরের হোটেলগুলো রিকুইজিশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, হোটেলের মালিকরা ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছেন। এসব হোটেলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত যশোর শহরের ১৬টি হোটেল রিকুইজিশন করা হয়েছে। এগুলো হলো শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমেটরি, জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেল, হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল সিটি প্লাজা, হোটেল ম্যাগপাই, হোটেল আর এস, হোটেল মণিহার, হোটেল ম্যাক্স, হোটেল সোনালী, সিটি হোটেল, হোটেল শাহরিয়ার, হোটেল বলাকা, হোটেল নয়ন, হোটেল নিউ ওয়ে, হোটেল প্রিন্স, হোটেল সিটি এবং যশোর হোটেল। এগুলোর মধ্যে জাবির ইন্টারন্যাশনাল হোটেল পাঁচ তারকা মানের। শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমেটরি তিন তারকা মানের। জানা যায়, বেনাপোল হয়ে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দুই-একদিনের মধ্যে যশোর শহরের হোটেলগুলোও এসব মানুষে পূর্ণ হয়ে যাবে। সেই কারণে যশোরের পাশের জেলাগুলো- খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ এবং নড়াইলের হোটেলগুলোতেও তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More