ভারত থেকে আসা ১৪৭ জন ঝিনাইদহের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে

 

ঝিনাইদহে ভারত থেকে আসা ১৪৭ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে পৃথক দু’টি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে দু’জনকে। তবে তারা কেউ করোনা রোগী নন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের বিশেষ শাখা সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের মধ্যে করোনার লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তিদের যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় যশোর থেকে বেশকিছু ভারত ফেরত নারী-পুরুষ শিশুদের ঝিনাইদহের দুইটি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন রোগীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চলমান রাখা হয়েছে। কারণ তারা চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। কতজনকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে তার সঠিক হিসাব জানা নেই বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা। এদিকে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার দেয়া তথ্যমতে চলতি মাসের ৩ তারিখে ২৫ জন এবং ৪ তারিখে দেশে আসা ১১৮ জন নারী-পুরুষ শিশুকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা জানান, চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন তারা। চলমান পরিস্থিতির মধ্যে হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরত আসেন। এরপর সরাসরি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আনা হয়েছে তাদের।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) এরফানুল হক চৌধুরী জানান, ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের খাবারসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। উচ্চবিত্ত ৩৬ জনকে স্থানীয় এইড কমপ্লেক্সে এবং ১১১ জনকে পিটিআইয়ের আবাসিক হলে থাকতে দেওয়া হয়েছে। তারা কেউ করোনা রোগী নন। এরপরও দুইটি মেডিকেল টিম সর্বক্ষণ মনিটরিং করছে তাদের।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More