ভূমিহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও মেহেরপুর সদর এবং মুজিবনগর উপজেলা

দরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি ও গৃহপ্রদান উপলক্ষ্যে প্রেসব্রিফিং

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন আরও ৬৯টি দরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। যার মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন’ মুক্ত হবে। এসব নতুন ঘরে উঠতে পারবে এমন খুশিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে গৃহহীন পরিবারের সদস্যদের মাঝে। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, জীবননগর ও মেহেরপুরে সাংবাদিকদের সাথে সাংবাদিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে জাননো হয় আগামীকাল বুধবার ৪র্থ ধাপে জেলা জমিসহ ঘর পাচ্ছেন আরও ৬৯টি পরিবার। আর এই ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে শতভাগ ভূমিহীম মুক্ত জেলা ঘোষণা করা হবে। বুধবার ৪র্থ পর্যায়  চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায় ২৬টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৭টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৫টি ও জীবননগর উপজেলায় ১১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২ শতাংশ জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে এসব নতুন ঘর হস্তান্তর করবেন। জেলায় মোট ৬৯৫টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। একই সাথে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সোমবার বিকেলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন ‘ভূমিহীন-গৃহহীন’ পরিবার না থাকায় আগামীকাল বুধবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভূমিহীন-গৃহহীন’ মুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা ঘোষণা করবেন। কাল বুধবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে  চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার শহিদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত থাকবেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, আরডিসি হুমায়ুন কবির ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম সনি, মানিক আকবর ও রেজাউল করিম লিটনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ দেশের ৭টি জেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। জেলায় মোট ৬৯৫টি পরিবারকে ২ শতাংশ জমি ও ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। যে সকল বাড়ি ব্যক্তি বাড়ি পেয়েছেন, তারা ভালো আছেন। স্পেশাল নজর আছে তাদের প্রতি। কৃষি, মৎস্য, সমাজসেবা সবার সাথে সমন্বয় করে তারা এগিয়ে যেতে পারেন। এ ঘরটাকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বি হবে। এদেরকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার পেয়ে তারা খুশি। বুধবার ৪র্থ পর্যায়  চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলায় ২৬টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২৭টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৫টি ও জীবননগর উপজেলায় ১১টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২ শতাংশ জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হবে। চুয়াডাঙ্গায় জেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা সদর উপজেলায় ২০১ টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৯২টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৩৮টি ও জীবননগর উপজেলায় ১৬৪টি পরিবার আছে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতৃর্ক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনের লক্ষ্যে আলমডাঙ্গায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর লিখিত বক্তব্যে বলেন,  আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫০টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। যার প্রতিটি ঘরের ব্যয় ছিল এক লাখ ৭১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৫টি ঘরের নির্মাণ  করা হয়। যার প্রতিটি ঘরের ব্যয় হয় এক লাখ ৯১ হাজার টাকা, ৩য় পর্যায়ে ৮০টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। যার প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় করা হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা, ৪র্থ পর্যায়ে ১৭ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ টাকা। তিন পর্যায়ে নির্মিত ঘর ইতোপূূর্বে উপকার  ভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার ৪র্থ পর্যায়ের ঘরগুলো উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। এবার উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নে ১২ টি, নাগদাহ ইউনিয়নে ৩টি ও বেলগাছি ইউনিয়নে দুটি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। প্রেসব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদ্দৌলা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সাংবাদিক ফিরোজ ইফতেখার, প্রশান্ত বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম রোকন প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ৪র্থ পর্যায়ে আগামীকাল বুধবার জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রেসব্রিফিং করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দামুড়হুদা উপজেলার ‘ক’ শ্রেণীর তালিকাভুক্ত ৩২৯জনের তালিকা হতে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ১২৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। উক্ত তালিকা যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণি ভুক্ত নয় যৌক্তিক কারণ ও ডকুমেন্টসহ এমন ২৬৮ জনের নাম বাদ দেয়া হয় এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭১ জনকে নতুন করে ভূমিহীন ও গৃহহীন তালিকাভুক্ত করা হয়। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে পূর্বের তালিকা হতে ৬১ জন, নতুন তালিকায় ৬২জনসহ মোট ১২৩জন ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসন করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলায় পূর্বের ‘ক’ তালিকাভুক্ত আর কোনো ভূমিহীন পরিবার না থাকায় পরবর্তীতে বহুল প্রচারের মাধ্যমে ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অধিক খোঁজখবর নিয়ে ১৫টি ভূমিহীন পরিবারের আবেদন পাওয়া যায়। ওই ১৫টি ভূমিহীন পরিবার নতুন করে তালিকাভুক্ত করে পুনর্বাসন করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের ১৫টি সহ সর্বমোট ১৩৮টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের মাধ্যমে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের পুনর্বাসন সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ট্রাস্টফোর্স কমিটির সভা এবং গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলার সর্বস্তরের অংশীজনকে নিয়ে আয়োজিত যৌথ সভায় মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের অনুকূলে একক গৃহনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের বিষয়ে উপজেলায় ‘ক’ শ্রেণির তালিকাভুক্ত আর কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার না থাকায় দামুড়হুদা উপজেলাকে ভূমিহীন গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম. নুরুন্নবী, উপজেলা নির্বাহী অফিসের সিও ফয়জুল ইসলামসহ দামুড়হুদায় কর্মরত বিভিন্ন দৈনিকের সাংবাদিকবৃন্দ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহমুক্ত ঘোষণায় প্রেসব্রিফিং ও মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিং-এ লিখিত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান। প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি বলেন, ৪র্থ পর্যায়ে ১১টিসহ জীবননগর উপজেলায় সর্বমোট ১৬৪জন গরিব ও দুঃখী মানুষকে গৃহ ও ২ শতক করে জমি প্রদান করা হয়েছে। ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের ৩৯ হাজার ৩৬৫জন গরিব-দুঃখীর হাতে ২শতক করে জমির দলিল ও তদুপরিস্থ নির্মিত একটি করে গৃহ প্রদান করবেন। এর মধ্যে এ উপজেলায় ১১টি গৃহ ভার্চুয়ালি উদ্বোধনসহ ২শতক করে জমির দলিল প্রদান করবেন। প্রেস ব্রিফিং-এ জানানো হয়, এ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ১৮টি গৃহনির্মাণ করা হয়। যার নির্মাণ ব্যয় ছিলো ১লক্ষ ৭১হাজার করে ৩০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০টি গৃহনির্মাণ করা হয়। যার নির্মাণ ব্যয় ছিলো ১ লাখ ৯০ হাজার করে ৯৫ লাখ টাকা। তৃতীয় পর্যায়ে ৮৫টি গৃহনির্মাণ করা হয়। যার নির্মাণ ব্যয় ছিলো ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা করে ২কোটি ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫শ’ টাকা এবং চতুর্থ পর্যায়ে ১১টি গৃহনির্মাণ করা হয়েছে। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা করে ৩১ লাখ ২৯হাজার ৫শ’ টাকা। উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুরে ৫টি, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘুগরাগাছিতে ২টি ও কর্চ্চাডাঙ্গা লাইনপাড়ায় ২টি ও রায়পুরে ২টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। যা আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। প্রেস ব্রিফিং-এ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও প্রেসক্লাব সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার মাহমুদুর রহমান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাজি সামসুর রহমান চঞ্চল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জিএ জাহিদুল ইসলাম বাবু, সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজল, আকিমুল ইসলাম, মিঠুন মাহমুদ, মহিবুল ইসলাম মুকুল, রমজান আলী, রিপন হোসেন, মুতাসিম বিল্লাহ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহিনী অর্থাৎ “ক” শ্রেণীর পরিবারের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৮ হাজার ২১০টি গৃহ ও চতুর্থ পর্যায়ের ১ম ধাপে ৩১ হাজার ১৫৫টি গৃহসহ সর্বমোট ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি গৃহ আগামী ২২ মার্চ উপকার ভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এরই অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলায় সর্বমোট ১১৭টি গৃহ (মেহেরপুর সদর উপজেলা ৬১টি, গাংনী উপজেলা ৪৭টি এবং মুজিবনগর উপজেলার ৯টি) উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান গতকাল সোমবার বিকেলে তার সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি এবং আসন্ন রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং এ কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, গত ১৬ মার্চ মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে সুস্থভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সুস্থ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যবৃন্দ, নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাসহ সকলের প্রতি তিনি ধন্যবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More