ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : ৮ কোচিং সেন্টারে সতর্ক ও একটিতে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার মধ্যেও প্রাইভেট কোচিং সেন্টারগুলো চালু রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেই চলছে নামী বেনামী বিভিন্ন কোচিং সেন্টার। শহরের বেশির ভাগই কোচিং সেন্টার চলে শিক্ষকদের নাম অনুসারে।
এদিকে, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকার মঙ্গলবার বিকেলে ওই অভিযান চালানো হয়। এসময় ৮টি কোচিং সেন্টারকে সতর্ক ও একটি কোচিং সেন্টারকে জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম তারিক-উজ-জামান ওই অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হয় বেশকিছু কোচিং সেন্টার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলমান এসএসএসি পরীক্ষার মধ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু বিধি নিষেধ অমান্য করে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেশকিছু কোচিং সেন্টার চালু রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বেশকিছু কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শহরের কাঠপট্টি এলাকার শাহীন ইংলিশ একাডেমির পরিচালক শাহীনুর আলম শাহীনকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে ওই কোচিং সেন্টারের মালিককে সতর্ক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি এম তারিক-উজ-জামান জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষার মধ্যে কিছু কোচিং সেন্টার খোলা ছিলো। কলেজ রোডের ব্লু-বার্ড, ব্যতিক্রম প্লাস কোচিং সেন্টারসহ মোট ৯টি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এদের মধ্যে কাটপট্টি এলাকার শাহীন ইংলিশ একাডেমির পরিচালক শাহীনুর আলম শাহীনকে জরিমানা করা হয়। বাকীগুলোকে সতর্ক করা হয়। আর কোচিং চালাবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন কোচিং সেন্টারের মালিকরা। ভবিষ্যতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার চালু রাখলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শহরের কলেজ রোডের শাহীন স্যার, হাসান স্যার, কাঠপট্টি মেহেদী স্যার, মতিউর স্যার, মঈন স্যার, ফারুক স্যার, আবু বক্কর স্যার, হাসপাতাল এলাকার তুষার স্যার, হাবিব স্যার, সেকেন্দার স্যার, মোকাদ্দেস স্যার, রেডিয়েন্ট কোচিং, দোস্ত মোহাম্মদ স্যার, সিনেমা হলপাড়ার লাইসিয়াম কোচিং সেন্টারসহ আশপাশের কোচিং সেন্টারগুলোর কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করে পালিয়ে যান মালিকরা। মুক্তিপাড়াতেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে এমন কিছু পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More