মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর এস কে এফ অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ফায়েল উদ্দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল বুধবার ভোররাতে পিরোজপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত ফায়েল উদ্দিন পিরোজপুর গ্রামের কাবির উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন এবং প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফায়েল উদ্দিন বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর নিজ গ্রামে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এস কে এফ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয় পরিচালনার লক্ষ্যে তিনি একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেন এবং তাদের এমপিওভুক্তির আশ্বাস দেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ওই শিক্ষকদের কাছ থেকে এমপিওভুক্তির বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা নেন। সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর বিদ্যালয়টির এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া থেমে যায়। এতে শিক্ষকরা টাকা ফেরতের দাবি জানান। এ নিয়ে ফায়েল উদ্দিন মানসিক চাপে ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। অনেকে ধারণা করছেন, পাওনাদারদের চাপ ও আর্থিক সংকটের কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। আত্মহত্যার পর ভুক্তভোগী শিক্ষক ও অন্যান্য পাওনাদাররা তাদের অর্থ ফেরতের জোর দাবি জানান। পরে ফায়েল উদ্দিনের নিকট আত্মীয়রা পাওনাদারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সমাধানের আশ্বাস দেন। বুধবার বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.