মেহেরপুরে স্যালুট নিয়ে বিদ্যালয়ে কম্বল বিতরণ : ব্যাখ্যা চাইবে শিক্ষা অফিস

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণের সময় জেলা সৈনিক লীগ সভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন রুপাকে স্যালুট দেয়া নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। গত বুধবার মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে এ ঘটনা ঘটে। বেসরকারি কাউকে এ রকম স্যালুট দেয়ার বিধান নেই জানিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয়ের গার্লস গাইডের কয়েকজন ছাত্রী জানায়, বুধবার বিকেলে একজন ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ কম্বল দিতে আসবেন জানিয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে যেতে বলেন তাদের প্রশিক্ষক। এ সময় ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ওই দলে ছিলো। সেখানে নিলুফা ইয়াসমিন রুপাকে স্যালুট দিতে বলা হয়। এরপর প্রত্যেককে একটি করে কম্বল দেন রুপা।

মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘কেউ কম্বল দেয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি। বিষয়টি স্কুল ছুটির পরে গালর্স গাইডের উদ্যোগে হয়েছে। এ বিষয়ে আমি জানতাম না। পরে ফেসবুক লাইভে বিষয়টি দেখি। আমি ভবিষ্যতে তাদের এ ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে বলেছি।’

মেহেরপুর স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘গার্ড অব অনার বা স্যালুট যাকে তাকে দেয়া যায় না। এর জন্য আইনগত কিছু বিধিবিধান আছে। এটা রাষ্ট্রের অবমাননা। যারা এটা করেছে তারা আমাদের গার্লস গাইডের কেউ নয়। তাদের গায়ে স্কুলের পোশাক ছিলো।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বেসরকারি কাউকে গার্ড অব অনার বা এ রকম স্যালুট দেয়ার বিধান নেই। তবুও যাকে নিয়ে বিতর্ক আছে তাকে স্যালুট বা সালাম দেয়া উচিত নয়। এ বিষয়ে আমি অধ্যক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ এ বিষয়ে নিলুফা ইয়াসমিন রুপার কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘কোনো গার্ড অব অনার নয়, তারা আমাকে প্যারেড করতে করতে নিয়ে গেছে। প্যারেডে সালাম দিয়েছে। আমি ভালো কাজ করেছি, স্যালুট দিলে সমস্যা কী?’ এ সময় কম্বল বিতরণের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More