মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ড. মনির হায়দার সম্মিলিত চেষ্টায় হাসপাতালের পরিবেশ বদলানো সম্ভব

মেহেরপুর অফিস: বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, আন্তরিক ও সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে হাসপাতালের পরিবেশ আরও সুন্দর ও মানবিক করা সম্ভব। শুধু ওষুধ বা ব্যবস্থাপত্র নয়-চিকিৎসার জন্য পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অত্যন্ত জরুরি। হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির বিষয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তিনি মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মতো এখানেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলস কাজ করছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সুশৃঙ্খল ও রোগীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবাই আমাদের লক্ষ্য। পরিদর্শনকালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে হাসপাতালের বর্তমান অবস্থা ও সেবার মান সম্পর্কে সরাসরি ধারণা নেন মনির হায়দার। তিনি চিকিৎসকদের মানবিক হতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন-ওষুধ ও জনবল সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে এবং প্রতিটি রোগী যেন সম্মানের সঙ্গে চিকিৎসা পান। পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাসুদা আক্তার খানম, সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আবু সাঈদ এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহারিয়া শায়লা জাহান। মুনির হায়দার আরও বলেন, ‘সরকারের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মানুষ যেন স্থানীয় পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা পায়। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় দিকগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালে লোকজন কম, ডাক্তার সংকট সারা বাংলাদেশেই অভিন্ন পর্যায় এরমধ্যে আমি চাই হাসপাতালে পরিবেশটা অন্ততপক্ষে সুন্দর থাক। কারণ হাসপাতালে পরিবেশ সুন্দর না থাকলে একজন রোগীর সাথে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে, এজন্য আমি এখানে যারা কর্তৃপক্ষ আছে তাদের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে হাসপাতালের পরিবেশটা যেন সুন্দর থাকে এবং সুইপারদেরকে নিয়মিত দিনে একবার যেন আবর্জনা গুলো ফেলে দেয় তাহলে কিছুটা পরিবেশ সুন্দর হবে। এটি পৌরসভার কাজ এই হাসপাতালে মাত্র দুইজন সুইপার নিয়োজিত। এই দুইজন আসলে এত বড় একটি হাসপাতাল পরিষ্কার করা অসম্ভব সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এই সংকট দূর করা যায়। আমি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিভাবে তারা সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিবেশ সুন্দর রাখার কাজটি চালিয়ে যেতে পারে সেটা যেন করে। বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ আহমেদ ও ডিসি সিফাত মেহনাজ বলেন, মেহেরপুরের জনগণ যেন ভালো সেবা পায়, সে লক্ষ্যে হাসপাতালের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, রোগীদের চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে কাজ চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি ও জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More