মোমবাতি ও মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দেয়া হলো চিকিৎসা

বিদ্যুৎবিহীন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ

স্টাফ রিপোর্টার: ঘড়ির কাটা ঠিক রাত ৯ টা বেজে ৫৫ মিনিট। হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালজুড়ে অন্ধকার হয়ে যায়। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর থাকলেও সেটা চলতে দেখা যায়নি। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ডাক্তার, স্বেচ্ছাসেবকেরা হাতে মোমবাতি, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটের আলো জ্বালিয়ে কোনরকমে চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এ চিত্র দেখা যায়। পরে আধা ঘন্টা পর জরুরি বিভাগসহ পুরো হাসপাতালে আলো জ্বলতে দেখা যায়। চিকিৎসা নিতে আসা সাগর নামে এক ব্যক্তি বলেন, হঠাৎ বিদ্যুৎ যাওয়ায় জরুরি বিভাগ অন্ধকার হয়ে যায়। পরে মোমবাতি ও মোবাইলের ফ্লাশ লাইটের আলোতে চিকিৎসা নিয়েছি। আব্দুল হাকিম নামে এক যুবক বলেন, মোমবাতি ও মোবাইলের ফ্লাশ লাইটের আলোতে চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর থাকলেও চালু করেনি। স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, দু দফায় বিদ্যুৎ প্রায় ৩০ মিনিট জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎবিহীন রোগীদের সেবা দিতে হয়েছে। হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর থাকলেও কেনো চালু হয়নি এটা আমরা জানি না। মোমবাতি ও মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। এতে রোগীরা যেমন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ঠিক আমাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই তাতে আমরা সেবা দেয়া বন্ধ করিনি। কয়েকটা রোগীদের মোমবাতি ও মোবাইলের ফ্লাশ লাইটের আলোতে চিকিৎসা দিয়েছি। তবে আমাদের প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় আধাঘণ্টা পর জরুরি বিভাগে আলো জ্বলে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More