রিপনুল হাসানকে স্বর্ণ চোরাচালানি আখ্যা দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি

বাজুসের দেয়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা মানছেন না চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার: বাজুসের দেয়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা মানছেন না জুয়োডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা। তারা এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ব্যক্তির দোষের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারা চলবে না। ব্যক্তির অপরাধের দায়, সংগঠন নেবে না। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাজুস চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান ৫ আগস্টের পর দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে অবৈধ অর্থের জোগান দেন। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাকারবারসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন একব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে সংগঠিত করতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অবৈধ অর্থের জোগান দেয়ার অভিযোগসহ ঢাকা ডিএমপি পল্টন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। মফস্বল এলাকায় আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা উৎসব-পার্বণে কিছুটা বেচাকেনা করে। ঠিক ঈদের কয়েকদিন আগে, অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারার সামিল। সাংগঠনিকভাবে সংগঠনের সকল নির্দেশনা মেনে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। কিন্তু পেটে লাথি মারার এই সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারি না। বহু অন্যায় ও দুর্নীতির হোতা, চিহ্নিত স্বর্ণ চোরাচালানি, জুয়া ব্যবসায়ী এবং হত্যা মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গার ছেলে রিপনুল হাসানের ব্যক্তিগত দায়-দোষের কারণে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। আমরা মনে করি, বাজুসের এই সিদ্ধান্ত একজন ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের মতো হাজার হাজার জুয়েলারি ব্যবসায়ীর পেটে লাথি মারা। চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো বৃহস্পতিবার খোলা রাখেন। এদিকে, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বাজুস। চুয়াডাঙ্গায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক লতিফুল ইসলাম, সদস্য আশাবুল হক, আকরামুর রহমান, মাসুদ কামাল, কামরুজ্জামান, নিজাম উদ্দীন ও রনজিত কুমার। প্রসঙ্গত, বাজুস সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান চুয়াডাঙ্গা শহরতলি দৌলাতদিয়াড় গ্রামের আবদুল হান্নানের ছেলে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More