শরীরে ফোসকা হওয়া সেই বৃদ্ধাকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসোলেশন থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে (মহিলা) রেফার্ড করা হয়েছে শরীরে ফোস্কা হওয়া সেই বৃদ্ধাকে। গতকাল শনিবার দুপুরে ওই বৃদ্ধাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রেফার্ড করা হয়। ওই বৃদ্ধার শরীরে মাংকিপক্সের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের  প্রধান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হোসেন।

গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হোসেনকে সভাপতি করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। ওই বোর্ডে সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা.ওয়ালিউর রহমান নয়ন ও ডা. খালিদ হাসানকে সদস্য এবং ডা. সোহরাব হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়।

মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ওই বৃদ্ধাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে মাংকিপক্সের কোনো আলামাত পায়নি। মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আবুল হোসেন জানান, বৃদ্ধার শরীরে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, স্টেভস-জনসন সিনড্রোম ও এলার্জি সিনড্রোম পাওয়া গেছে। এখন তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং ভালো হয়ে দু’একদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে এখনো মাংকিপক্সের কোন রোগী পাওয়া যায়নি। ইউরোপসহ কয়েকটি দেশে ৭৪০ জন রোগী পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভান্ডারদহ গ্রামের নুরজাহান বেগম (৬০) গত বৃহস্পতিবার শরীরে ফোস্কা নিয়ে সদর হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে মাংকিপক্স হয়েছে বলে শনাক্ত করেন। পরে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলেন। পরবর্তীতে গত শুক্রবার ওই বৃদ্ধাকে আবার সদর হাসাপাতালে নেয়া হয় এবং নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে আইসোলশনে রাখা হয়। এরপর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্যবিভাগ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More