সাংবাদিক ইলিয়াসের সাক্ষাৎকারের জেরে গ্রেপ্তার শিল্পী পুতুলের মুক্তি ও বাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর কণ্ঠশিল্পী ও স্কুল শিক্ষিকা পুতুলকে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় গ্রেপ্তার এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর-এ পৃথক দুটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বক্তারা পুতুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তার মুক্তি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্ত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ-এর বিচারের দাবি জানান।
আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে প্রথম মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, পুতুল একজন শিক্ষিকা ও শিল্পী এবং তিনি বিএনপি পরিবারেরই একজন। কিন্তু তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ইলিয়াসের সংবাদে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে, এমনকি এই ঘটনার জেরে তাঁর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
আলমডাঙ্গায় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মোঃ ঝন্টু, রুবেল, মোঃ রানা, জুয়েল, রিপন, শরিফ হোসেন, কামরুজ্জামান বকুল, ইলিয়াস, মোবারক, মিঠু ডাক্তার, রকিবুল ইসলাম খান, টিচার, জর্জ, আসাদুল ইসলাম, মামুন রানা, জায়দুল, আমজাদ, ঝন্টু, চান্দু, ইখলাস কনক, সাইদুর, রেজাউল, আলম, মিলন, আজম, ঠান্ডু, বকুল, বশির, ছাত্তার, বুলবুল, আরিফ মেম্বার, হাসিবুল, মাসুম, খালেক, মহিন, কাবিল, রেন্টু, সবেদ, ইয়াকুব আলী, বিল্লাল, মহর উদ্দিন, শাহিন, মিন্টু, পল্টু খালেক, আক্কাস, জহুরুল, রকিবুল, তারিখ, আহাদ, উজির, জিম, শাজাহান, রশিদ, শাহাদাত, রুনা রোহিত, সহ স্থানীয় সাধারণ জনগণ।
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা নতুন বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংহতি
এবং সন্ধ্যা ৬ টায় চুয়াডাঙ্গা নতুন বাজারে আরেকটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সংহতি প্রকাশ করেন। তাঁরা শিল্পী পুতুলের গ্রেপ্তারের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ক্ষমতার অপব্যবহার বলে আখ্যা দেন।
চুয়াডাঙ্গা নতুন বাজারের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল খালেক,
চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আরঙ্গজেব বেল্টু , চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মমিনুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।
বক্তারা অবিলম্বে পুতুলের মুক্তি দাবি করে বলেন, একটি সংবাদ প্রকাশের জেরে শিক্ষক ও শিল্পীর উপর এমন নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা এই ঘটনাকে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত বলেও মন্তব্য করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.